প্রতিদিন কইটি করে আমলকী খাওয়া উচিত বিস্তারিত জানুন
আমলকী একটা খুব উপকারি ফল।আমলকী খালি পেটে খাওয়াই ভাল।তবে বেশি খাওয়া উচি নয়। আমলকী প্রতিদিন ১-২ টার বেশি খাওয়া উচিত নয়।কিছু ক্ষেত্রে এই ফলটি এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।কাঁচা আমলকী খেলে খাওয়ার রুচি বারে।
আমলকী চিবিয়ে খেলে বেশি উপকার হয়। আমলকী ভিজেয়ে রেখে বেটে মাথাই ব্যবহার করলে অনেক উপকার হয়।এতে চুল পরা বন্ধ হয়।আমলকী রোপণের সঠিক সময় বর্ষা কাল।
পেজ সূচীপত্র:
আমলকী খাওয়ার উপকারিত
আমলকী একটি খুবই উপকারি ফল। আমলকী খেলে মুখের রুচি বারে। আমলকীতে রয়েছে ভিটামিন সি। আমলকী মানসিক চাপ কমায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমলকী বদ হজমে সাহায্য করে। এবং চোখ ভাল রাখার জন্য আমলকী অনেক উপকারি। এক গ্লাস কমলা লেবুর রসে যে ভিটামিন থাকে একটা আমলকীতে সেই ভিটামিন সি থাকে।
ভিতামিন সি এর অভাবে যে সকল রোগ হয় আমলকী খেলে সেই রগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আমলকী খেলে আসিডিটি, সর্দি, কাশি ভালো হয়। আমলকীর রস খেলে কোস্ট কাঠিন্ন রগ দূর হয়ে যায়। এটি চুলের খুসকি দুর করে ও পাকা চুল রোধ করে। এক গ্লাস দুধ বা পানির সাথে আমলকী রস খেলে আসিডিটি ভাল হয়।
প্রতিদিন আমলকী খেলে নিঃশ্বাসে দুরগন্ধ দুর হয় এবং মুখের রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। শরীরের অপ্রয়জনিত ফ্যাট কমাতে আমলকী জুস খাবেন। লৌহিত্য রক্ত কণিকা বাড়িয়ে তোলে এবং দাঁত ও নখকে ভালো রাখে।আমলকীকে অমৃত ফল বলা হয়। আমলকী সুগার ও রক্তচাপ নিয়ন্তন, ওজন কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আমলকীর দশটি উপকারিতা
আমলকী হল আমাদের দেহের জন্য উপকারি ভেষজ এর মাঝে আক্তি।আম্লকির টক ও তেতো মুখের রুচি ও স্বাদ বারায়। আমলকী আমাদের কি কি উপকার করে চলুন জেনে নেই।
এক গ্লাস দুধ বা পানির সঙ্গে আমলকী গুড়া ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু বার খেতে পারলে আসিডিটি ভালো হয়।
- আমলকী রস দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এ ছারাও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ, চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়।
- কফ, বমি, অনিদ্রা, বাথা বেদনায় আমলকী অনেক উপকার করে।
- ব্রস্কাইটিস ও আজমার জন্য আম্লকির জুস উপকারি।
- আমলকী শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্য ক্ষমতা বারিয়ে তলে, পেশি মজবুত করে।
- এটি হ্রদযন্ত, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিস্কের শক্তি বর্ধন করে।
- শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে থাকে আমলকী।
- লৌহিত্য রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে আমলকীর রস।
- সর্দি কাশি, পেটের পীড়া ও রক্ত শূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভাল কাজ করে থাকে আম্লকি।
- ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্তনে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে কলেস্টেরল লেভেলও কম রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করে আমলকী।
সুতরাং আপনারা যেনেই গেছেন আমলকীর বহু গুন সম্পর্কে। প্রতিদিন তাই একটি করে আমলকী অথবা আমলকীর আচার খেতে ভুলবেন না।
এক দিনে কয়টা আমলকী খেতে হবে
আমলকী উপকারি কিন্ত কতটা খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে জানেন কি। কিছু ক্ষেত্রে ফলটি এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।যদি কোন সার্জারি হয়ে থাকে বা অন্তঃসত্ত্বা বা যারা বাচ্চাকে স্তনপান করাচ্ছেন তাদের আমলকী এড়িয়ে যাওয়া ভাল। জুস বা অন্য কোণ ভাবে আমলকী খাওয়ার চেয়ে কাঁচা চিবিয়ে খেলে বেশি উপকার হয়।
আমলকী বেশি পাওয়া যায় শীতকালে। প্রতিদিন সাকালে খালি পেটে ১-২ টা আমলকী খাওয়া যায় এতে সবচেয়ে বেশি উপকার হয়। তবে একদিনে ১-২ টার বেশি আমলকী খাওয়া ঠিক নয়।কারন এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে এর জন্য কোস্ট কাঠিন্ন হতে পারে। আমলকী বেশি খেলে অ্যালার্জি হতে পারে।
একদিনে বেশি আমলকী খেলে হার্ডের সমস্যা হতে পারে। অতাধিক খাওয়ার ফলে কিছু স্বাস্থ্য সংকান্ত সমস্যা হতে পারে যেমন পাকস্থলীতে কৃমি, সর্দি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া পেটে বাথা হতে পারে, ঠান্ডা লাগতে পারে আমলকী বেশি খেলে। আমলা শরীরের তাপমাত্রা অনেক অংশে কমিয়ে দেয়। তাই প্রতিদিন ১-২ টার বেশি আমলকী খাওয়া ঠিক না।
শুঁকনো আমলকী সারা বছর ঘরে রাখার পদ্ধতি
প্রথমে আমলকী ভাল ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তারপরে আমলকী গুলো কেটে নিতে হবে। কাটার পরে একটু লবন মিশিয়ে রোদে শুকাতে হবে ৪-৫ দিন। এগুলো একটা বয়মে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। আমলকী সারা বছর পাওয়া যায় না। আমলকী সাধারণত শীতকালে বেশি পাওয়া যায়।
এই শুকনো আমলকী চুলে ব্যবহার করতে পারবেন। আমলকী পাতলা করে কেটে শুকিয়ে সারা বছর ঘরে রাখা যায়। আমলকী ভিজিয়ে রেখে ওই পানি মাথাই দিলে চুলের গোঁড়া অনেক মজবুত হয় এবং চুল পরা বন্ধ হয়। এভাবে আমলকী শুকিয়ে রেখে মাথায় দিলে খুসকি দেখা মেলে না।
আমলকী ভাল ভাবে শুঁকানোর পরে অনেক দিন পর্যন্ত ঘরে রাখা যায়। কাঁচা আমলকী যেমন উপকারি। শুঁকনো আমলকী তেমনি অনেক উপকার করে থাকে। আমলকী তে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। আমলকী সাধারণত বর্ষা কালে উৎপাদন বেশি হয়। আমলকী ফ্রিজে রাখলে অনেক দিন ভাল থাকে।
চুলের যত্নে আমলকীর তেলের ব্যবহার
চুলের জন্য আমলকীর তেল খুবই উপকারি। এই তেল ব্যবহার করলে নুতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। আমলকী তেল অকালে পেকে যাওয়া চুলকে রক্ষা করে। এবং চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে। আমলকী আমাদের চুলের ন্যাচারাল কন্ডিসনের কাজ করে থাকে যার জন্য যুগ যুগ ধরে আমলকী চুলের যত্নে ব্যবহার করে আসছে।
আমলকীর তেল তৈরি করার জন্য প্রথমে আমলকী ধুয়ে কেটে নিতে হবে। তারপর এক কাপ পরিমান নারিকেল তেল নিতে হবে। তেল আর আমলকী ভাল ভাবে নেরে মিশানোর পরে দিতে হবে মেথি। এখন এই মিশ্রণটি লো হিটে রেখে ২৫-৩০ মিনিট জাল করে নিতে হবে।
তারপরে তেলতা ৫-৭ মিনিট রাখার পরে ছেকে নিতে হবে এখন এই তেলতা কাছের বোতলে রাখতে হবে। তাহলে তেলটা অনেক দিন ভাল থাকবে। এবার তেলটি চুলে মাখার জন্য সম্পূর্ণ পস্তুত। ভাল ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ২-৩ বার তেলটা মাথায় মালিশ করতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url