চর্মরোগে নিম পাতা ব্যাবহার করার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

নিম পাতা ব্যাবহার করার উপায় নিম পাতা একটি খুব উপকারি ঔসধ।নিমপাতা ব্যাবহার করলে অনেক রোগের মুক্তি পাওয়া যায়।নিম কাট দিয়ে আসবাবপত্র তৈরি করলে দীর্ঘস্থায়ী হয় ।নিম পাত ব্যাবহারে অনেক পুরানো দিনের চর্মরোগ,চুলকানি,অ্যালার্জি ভাল হয়ে যায়।নিম পাতা খেলে ডায়বেটিক নিয়ন্তনে থাকে।


প্রায় ৪০০০ বছর ধরে বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যাবহার হয়ে আসছে নিম। নিমপাতা,গাছ,ছাল,শিকর,ফুল,ফল  সব কিছুতেই পুষ্টিতে ভরপুর।নিম পাতাতে প্রেটিন,কালসিয়াম,ফসফরাস,ভিটামিন C এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায়।নিম চল্লিশটি জটিল ও সাধারণ রোগ নিরাময় করতে পারে।নিম পাতা রস করে শরীরে মেখে রোদে দশ মিনিট শুকিয়ে গোসল করলে খুব অল্প সমায়ে,চর্মরোগ ও চুলকানি ভালো হয়ে যায়।

 সূচিপত্রঃ 

চর্মরোগে নিম পাতা ব্যবহার করার উপায়ঃ

 চর্মরোগ হল একটি ফাঙ্গেয়াস ইনফাংসন যা শরীরের যে কোনও জায়গায় হতে পারে।চর্মরোগ হলে সেই জায়গায় নক দিয়ে একেবারে চুলকানো যাবে না এতে ওখানে ইনফাংসন হওয়ার সম্বাবনা থাকে।নিম পাতা ভাল ভাবে ধুয়ে বেটে শরীরে মেখে রোদে সুকিয়ে গোসল করতে হবে।এভাবে এক সপ্তাহ নিওমিত মাখলে চর্মরোগ ভালো হয়ে জাবে।হাফ চামচ হলুদ আর এক চামচ নিম পাতা বাটা নারিকেল তেল ভাল ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।

নারিকেল তেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ত্বকের রোগ সারাতে অনেক কাজে দেয় এবং ত্বককে ঠাণ্ডা রাখে। প্রাচীন কাল থেকে এই নিম পাতা বিভিন্ন কাজে ব্যাবহার করে আসচে। এবার ঐ মিশ্রণ টির মধ্য হাফ লেবুর রস দিয়ে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে,লেবুর মধ্য আছে সাইট্রিক এসিড যা চর্মরোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।চর্মরোগে ব্যাবহার করার জন্য এবার রেমিডি টি একেবারে তৈরি।

এই রেমিডি প্রতিদিন সকালে মেখে শুঁকানোর পরে গোসল করতে হবে।একই ভাবে আবার রাত্রে ঘুমানোর আগে মাখতে হবে।এভাবে নিয়মিত এক সপ্তাহ মাখলে অনেক পুরানো চর্মরোগ একেবারে ভালো হয়ে যাবে।তবে এই মিশ্রণটি হাত দিয়ে লাগানো একদম উচিত নয়,যে কোন কিছুর সাহায্যে এই রেমিডি লাগাবেন।চর্মরোগ সেরে যাওয়ার পরেও এক সপ্তাহ ব্যাবহার করবেন এতে আর কোন দীনও চর্মরোগ হোবে না।

 

নিম তেল তৈরি করার নিয়মঃ

কম বেশি আমরা সবাই জানি নিম পাতার গুনারাত।নিম তেলের বেশি গুনাগুন বাড়াতে আমরা ব্যাবহার করব আলভেরা সাথে ব্যবহার করবো নিম পাতা।প্রথমে আলভেরা নিব তারপর নিম পাতা ভাল ভাবে ধুয়ে পানিটা ঝরিয়ে নিব,এক কাফ পরিমান নিব নারিকেল তেল।নিম পাতা লো হিটে দিয়ে পানি গুল মারতে হবে এরপরে আলভেরা দিয়ে ভাল ভাবে নারতে হবে জাতে পাতার সাথে আলভেরা মিশে যায় এ জন্য ২ মিনিট জাল করে নিতে হবে।

 
নিম একটি ঔষধি গাছ যার ডাল,পাতা,রস সবি কাজে লাগে।এর গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না।নিম পাতাতে আছে প্রচুর পরিমানে এন্ট্রি অক্সিজেন  এর ফলে চুলের গোঁড়ায় যে খুস্কি হয় এবং খুস্কি থেকে ফুস্কুরি হয়।এই ইনফাংসন সারাতে আপনাকে দারুন ভাবে সারাতে ক্ষমতা রাখে এই নিম পাতার তেল।

নিম তেল ব্যাবহারের ফলে চুল অনেক লম্বা হয়,মতা হয় এবং চুল থাকে খুস্কি মুক্ত।আলভেরা নিম পাতা ২ মিনিট জাল করার পরে নারিকেল তেল দিয়ে ১৫-২০ মিনিট জাল করব।এরপর তেল টা ছাকনি দিয়ে ছেকে নিব।আভাবে তৈরি হয়ে গেল নিম তেল।এই তেল অনেক দিন পর্যন্ত ব্যাবহার করতে পারবেন।

 

এই নিম তেল খুব উপকারি একটা তেল।হাত পা বাথা হলে বা কেটে গেলে নিম তেল মালিশ করলে খুব তারাতারি ভাল হয়ে জায়।নিম তেল মুখে দিলে ব্রন মেস্তা ভাল হয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন কইটি করে আমলকী  খাওয়ার উচিত 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url