কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে জেনে নিন
সঠিক ওজনের একটি নবজাতক মানেই একটি স্বাস্থ্য বান বাচ্চা। কিন্ত গর্ভবতীরা পুরো নয়মাস জুড়ে ঠিকমতো খাবার না খেলে বাচ্চার ওজন বারেনা। বাচ্চার ওজন বাড়াতে বেশি বেশি করে দুধ খেতে হবে।
গর্ভবাস্তায় ডিম, দুধ, ফুল-মুল, শাক-সবজি এবং মুরগীর মাংস খেলে বাচ্চার ওজন বারে। ভিটামিন এ, ডি, ই, প্রোটিন, অ্যামিনো এসিডের এক জাদুকরি উৎস ডিম।
পেইজ কন্টেন্ট সুচিপত্রঃ
- গর্ভ অবস্তায় খাওয়ার সঠিক নিয়ম
- গর্ভ অবস্তায় যে ভাবে ঘুমালে বাচ্চার ক্ষতি হয়
- গর্ভবতীর জন্য নিসিদ্ধ কাজ সমূহ
- গর্ভ বস্থায় কি খেলে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়
- ৫ম মাসের বাচ্চা গর্ভের মধ্যে কি করে
- কন্যা সন্তান হওয়ার প্রধান ৫টি লক্ষণ
- পুত্র সন্তান হওয়ার প্রধান ৭টি লক্ষণ
- কি কারনে মহিলাদের বাচ্চা হয় না
- গর্ভ বতীর পেট, কোমর, পা, জরায়ু, স্তন বাথার কারণ
- গর্ভ অবস্তাই টেনশন করলে কি হয়
গর্ভ অবস্তাই খাওয়ার সঠিক নিয়ম
গর্ভ অবস্তা সাধারণত ৯-১০ মাস হয়ে থাকে। এ সমায় কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। ১-৩ মাসকে বলা হয় ১ম ট্রাইমিস্টার, ৪-৬ মাসকে ২য় ট্রামিস্টার এবং ৬মাস থেকে জন্ম পর্যন্ত বলা হয় ৩য় ট্রাইমিস্টার।ট্রাইমিস্টারের গুরত্ত অনেক। তাই ট্রাইমিস্টার অনুযায়ী খাদ্য তালিকা করা উচিৎ। ১ম তিন মাস দৈনিক ১৬০০ ক্যালরি খাবার খেতে হবে।
গর্ভ অবস্তাই ১ম তিন মাসে ডিম খেতে হবে। তবে আধা সিদ্ধ ডিম খাওয়া জাবেনা। এ সময় প্রতিদিন তিন কাপ পরিমান দুধ খেতে হবে কারন দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমানে কালসিয়াম।মায়ের শরীরে নুতুন রক্ত তৈরি করতে আয়রন দরকার হয়। মাছ, মাংস, ডিম এ রয়েছে প্রোটিন।এ সময় খেজুর খেলে কি হয় জেনে নেই।
শক্তির যোগানঃ গর্ভবতী মায়েদের শরীরে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি শক্তির প্রয়জন। তাই খেজুর খেয়ে খুব সহজে শক্তির যোগান দিতে পারেন।
গর্ভের বাচ্চার হাড় ও দাঁত গঠন সহ শারীর বৃদ্ধিতে কার্যকারী খেজুর।
শারীরের ভারসাম্য বজায় রাখতেঃ পটাসিয়াম শারিরে রক্ত চাপকে নিয়ন্তন করে। এবং পেশি গুলি বাঁধা এড়ায় এই খনিজটির ঘাটতি রক্ত চাপ, কারডিও ভাস্কুলার রোগ এবং স্টক এর মত ঝুকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।খেজুরে রয়েছে পটাসিয়াম তাই খেজুর খেলে এই রোগ গুলো থেকে রেহাই পাবে।
কোস্ট কাঠিন্ন দূর করেঃ খেজুরে রয়েছে ফইবার যা হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং কস্ট কাঠিন্ন দূর করে।
শিশুর জন্য "ভিটামিন কে"সরব্রাহ করেঃ সাধারন্ত বাচ্চারা কম পরিমানে "ভিটামিন কে" নিয়ে জন্মায়। খেজুর খেলে শিশুদের শরীরের "ভিটামিন কে"এর ঘাটতি পুরন করে।
গর্ভ অবস্তাই যে ভাবে ঘুমালে বাচ্চার ক্ষতি হয়
এক জন সাধারন নারী যা যা করতে পারেন প্রায় তার সব কিছুই করতে পারেন গর্ভবতী মা। তবে গর্ভ কালীন সময় মহিলাদের মধ্যে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় হরমোনের চেঞ্জ আসে, বডি সেপের চেঞ্জ আসে বলে নানা রকমের সমস্যা হয়। গর্ভ অবস্তাই একটা কমন সমস্যা দেখা দেয় সেটা হল ঠিক মত ঘুমাতে না পারা।
প্রথমে জেনে নেই যে এই সময়টাতে ১ম তিন মাস যেমন ইচ্চা ঘুমাতে পারেন। পিঠে ভর দিয়ে শুলে, উপর হয়ে শুলে বাচ্চার ক্ষতি হয়। পিঠে ভর দিয়ে সোজা হয়ে শুলে মাজা বাথা করে। ২০ সপ্তাহের পর চিত হয়ে ঘুমালে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। চিত হয়ে ঘুমালে বাচ্চার ওজন ও জরায়ু চাপ সম্পূর্ণ আপনার মেরুদণ্ডর উপরে পরে বলে প্রচণ্ড কোমর ও মাজায় বাথা হবে।
চিত হয়ে ঘুমালে হ্রদপিন্ডর সাথে বড় একটা রক্তনালী গর্ভ স্তক শিশুর সাথে যুক্ত থাকে যা শির দারার একটু ডান পাশ দিয়ে মায়ের শরীরের নিচের দিকে নেমে আসে। গর্ভ অবাস্তাই শেষ পর্যায়ে বাচ্চার ওজন বেরে যায় তাই চিত হয়ে ঘুমালে রক্ত নালিতে চাপ পরে তার সাথে সাথে বাচ্চার শরীরে রক্ত চলাচলে বিঘ্নিত ঘটে এটাই আক্সিজেন কম পাওয়ার মুল কারন।
এছাড়া চিত হয়ে ঘুমালে গর্ভের শিশু অপূর্ণ থাকে এবং তার সাথে সাথে মৃত সন্তান প্রসব করার ঝুঁকিও বেরে যায়। গর্ভ অবস্তাই চিত হয়ে ঘুমালে বাচ্চার নড়াচড়া বান্ধ হয়ে যায় এবংস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়।
গর্ভবতীর জন্য নিষিদ্ধ কাজ সমূহ
গর্ভবতী মায়েদের কোন ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ভারী বোঝা বহন করা যাবেনা, ভারী কোনও জিনিস নিয়ে সিঁড়ি বেঁয়ে ওঠা যাবে না।
- জামা কাপর লন্ডি করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে এতে মাথা ঘুরতে পারে বা আপনি আসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
- পোষা প্রাণী যেমন বিড়াল, কুকুরের থালা বা বাসস্থান পরিস্কার করা থেকে বিরত থাকুন।
- তেলাপোকা, পিঁপড়া এবং কীটপতঙ্গ থেকে দূরে থাকুন। এগুলো মারা কিংবা তাড়ানোর স্প্রে থেকে অনেক দূরে থাকুন।
- ঘরের ফার্নিচার বা দেয়ালের রঙ করা থেকে বিরত থাকুন। কেননা এতে আপনার এবং আপনার বাচ্চা দুজনের ক্ষতি করবে।
- ঘর ঝারু বা ঘর মোছা যাবে না এতে পেতে চাপ লাগতে পারে বা বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।
- স্বাস্থ্য কর্মী বা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সাধারণ ঔষধ গুলোও খাওয়া যাবে না।
- শরীরে ঝাঁকি লাগে এমন কাজ করবেন না।
- ধান ঝারাই, ধান মারাই, টিউবয়েল পাম্প করা বা জলের কলসি ওঠানো এগুলো করবেন না।
- মারাত্মক কোন ক্যামিকাল দিয়ে বাথরুম পরিষ্কার করা থেকে দূরে থাকুন।
এত সব সাবধানের পরেও যদি রক্তস্রাব, চোখে ঝাপসা দেখা, জ্বর বা খিচুনি হয় তবে সাথে সাথে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। যদি ডাক্তার আপনাকে বিশ্রাম নিতে বলে তাহলে আপনার বিশ্রাম করাই ভাল।
গর্ভ অবাস্তয় কি কি খেলে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়
গর্ভ অবস্তা হল এমনি একটি পর্যায় যখন শিশু একটু একটু করে গর্ভে বেরে উঠতে থাকে। তাই মায়েরও পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার উছিত। কিন্ত কিছু কিছু খাবার এমনও আছে জা খেলে নিজকারেজ হয়ে জায়।আসুন জেনে নেই খাবার গুলো কি কি।
পেঁপে খেলে জরায়ু সংকোচন ঘটে এবং নিচকারেজ হতে পারে। গর্ভ অবস্তায় আনারস খেলে জরায়ুতে সংকোচন ঘটে।আঙ্গুরের খোসা হজমে ব্যাঘাত ঘটায় এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়। অ্যালকোহল এ সময় অ্যালকোহল খেলে বাচ্চার ঝুঁকি জীবনের থাকে। আদা ও দারচিনি এগুলো খেলে শরীরের তাপমাত্রা বেরে যায়।
চা ও কফি খেলে সমায়ের আগেই বাচ্চা হতে পারে এবং বাচ্চা নিজকারেজ হতে পারে।বাচ্চার ওজন ও কমিয়ে দেয়।হাফ বয়েল ডিম খেলে ব্যাকটেরিয়া আক্রমন বারে এতে বাচ্চার অনেক ক্ষতি হয়। রাস্তার খোলা খাবার খাবেন না এতে অ্যানি বার জীবাণু থাকে ও জন্ডিস থাকে যা মায়ের চেয়ে বাচ্চার বেশি ক্ষতি করে। যে কোন বাসী খাবার খাবেন না এতে ব্যাকটেরিয়া থাকে।
৫ম মাসের বাচ্চা গর্ভের মধ্যে কি করে
৫ম মাসের গর্ভবতী মায়েরা লক্ষ করবেন যে আপনের গর্ভের শিশুটি পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি সংক্রিয়। ৫ম মাসে আপনের গর্ভের বাচ্চাটি নিদিষ্ট ঘুমের একটি সার্কেল তৈরি হয়। এ সময় বাচ্চাটি বাইরের শব্দ সুনতে পায়। এই সময় থেকে বাচ্চার নড়াচড়া শুরু হয়।৫ম মাসে শিশুর হাত, পা, কানের এবং সকল আঙ্গ-প্রতাঙ্গর গঠন হয়।
এ সময় ৫ম মাসের শেষে বাচ্চার ওজন হয় ৩০০-৩৫০ গ্রাম। এ সময় বাচ্চার দৈর্ঘ ১৪-২৫সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। এ সময় মায়েদের মাজা পিট হালকা বাথা করে। তখন মায়েরা একটু বেশি বেশি হাটা হাটি করলে বাচ্চা সুস্থ থাকে। এ সময় মায়েরা নামাজ, কোরআন পরলে সন্তান ভাল হয়। ৫ম মাস থেকে গর্ভের বাচ্চা কানে সুনতে পায়।
৫ম মাসে বাচ্চা ৮-১২ইঞ্চির মত লম্বা হয়। এই মাস থেকে বাচ্চার পেশি হার ক্রমশ ঘন হতে থাকে। এ সময় বাচ্চার আকার গাজরের মত হয়ে থাকে।মাথার চুল এবং ভ্রু, চোখের পাতা গুলো গঠন হয়ে থাকে।এ মায়ের ঘুমের সমস্যা হতে পারে কারন বাচ্চা এখন থেকে নড়াচড়া শুরু করে।
শেষ কথা
বাচ্চা হওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কারন বাচ্চা তখন অনেক সময় উল্টো দিক হয়ে যায়। এ সময় অনেকের পানি শূন্যতা দেখা দেয় যার ফলে বাচ্চা মারাও জেতে পারে। তখন বাচ্চা সিজার করে তুলে নিতে হয়। এ সময় একটি ভুলে মা ও শিশুর জীবনের ঝুঁকি থাকে। তাই এই সময় খুবী সতর্কতার সাথে চলাফেরা করতে হবে।
নিজের সাস্থের প্রতি লক্ষ্য রাখুন। আতিরিক্ত ঠাণ্ডা, আতিরিক্ত গরম পরিবেস থেকে দুরে থাকুন। সর্ব পুরী আপানাকে সাবধানে এবং সব কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url