কৃষিতে আধুনিক যন্ত্র পাতির ব্যবহার সুফল ও কুফল

 আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে কৃষি ব্যবস্তা। বীজ তোলা থেকে উদপাদন পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে রয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার। যে লাঙ্গল জোয়াল আর হালের বলদ ছিল কৃষকের চাষাবাদের প্রধান  উপকরণ সেই জায়গা এখন দখল করে নিয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। 

কৃষিতে  আধুনিক প্রযুক্তির কিছু মেশিন ব্যবহার করে যেমন সময়, শ্রম ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে তেমনি ফসলের উৎপাদন বাড়ছে। বর্তমানে লাজ্ঞল দিয়ে জমি চাষ বা মই দেখাই যায় না। এখন প্রাই সব জায়গায় কৃষিকাজে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবিহার করে অধিক ফসল উৎপাদন করছে।

সুচিপত্র

• কৃষিকাজে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে কিভাবে ফলন বৃদ্ধি হয়
• আধুনিক যন্ত্র বাবহারের সুফল ও কুফল
• কৃষি ক্ষেত্র কয়টি ও কি কি
• জমিতে সার দেওয়ার সঠিক নিয়ম
• ধানের রোগ প্রতিরোধ করার নিয়ম
• আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি
• কোন ফসল কখন বপন করতে হয়
• কিভাবে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে কম খরচে অধিক ফলন হচ্চে

কৃষিকাজে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে কিভাবে ফলন বৃদ্ধি হয়

কৃষিকাজে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করার ফলে কৃষকের সময়, শ্রম ও অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। আবার ফসলের ফলনও অনেক বৃদ্ধি হচ্ছে। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে যেভাবে ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে  চলুন জেনে নেই।

Flaming tractor: যার কাজ দেখে আপনারা অবশ্যই অবাক হবেন। এই ট্রাক্টরে একটি সয়াল কাল্টিবিশন মেশিন লাগানো থাকে যার থেকে আগুন বের হয়। প্রকৃত পক্ষে সেই সব খেতেই এই মেশিন ব্যবহার করা হয় যেখানে নুতুন ফসল লাগানো প্রয়োজন। কিন্তু তার আগে মাটিকে কাল্টিবিশনের জন্য পুরানো ফসলের আবর্জনা খেত থেকে সরানোর প্রয়জন পরে। এটাতে বেশ কয়েকটা লোজোর লাগানো থাকে যার মাধ্যমে এক সাথে অনেকটা জুরে আগুন বের হয়।যা খেতে থাকা সব পুরানো আবর্জনা এবং মাটিতে থাকা ব্যক্টেরিয়া ও পোকা মাকড় পুরিয়ে মেরে ফেলে। এবং এটা মাটিকে কাল্টিবিশনের জন্য তৈরি করে।

Carrot Harvester: Carrot Harvestar তৈরি করেছে একটা ড্যনিস কোম্পানি এটা মাটির নিচে থাকা গাজর কে খুব সহজে কোনো প্রকার ক্ষতি ছারাই তুলে আনতে সক্ষম। এক মিনিটেই কয়েক হাজার গাজর মাটি খুরে তুলে আনতে পারে। এই মেশিনটির সামনের দিকে কাটা চামচের মত কিছু দাত থাকে যা ফসল গুলোর মধ্যে দিয়ে চলে যায়। এবং মেশিনটির মাটির নিচে থাকা অংশ মাটিকে আলগা করতে থাকে এবং এভাবে গাজর মাটির নিচ থেকে উপরে উঠে আসে।

Forage Harvestar: এই মেশিনের আবিস্কার সর্ব প্রথমে অস্ট্রেলিয়াতে হয়ে ছিলো। কিন্ত বর্তমানে এই মেশিন পৃথীবির প্রায় উন্নত মানের সব দেশেই ব্যবহিত হচ্ছে। এমনকি আমাদের দেশেও এখন এমন ধরনের মেশিনের সাহায্য নেওয়া হয়েছে জাতে কম সময়ে খেত খামারের কাজ আরো সহজ হয়ে যায়। 

 Briel mailer: যা মাটির উপরে জন্মানো আতিরিক্ত ঘাস কেটে ফেলার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই মেশিনে ফ্রিজ স্টোক পাট্টোল ইঞ্জিল ব্যবহার করা হয়েছে। এবং সেই সাথে মেশিনে তিনটি হাইড্রোলিক  পাম্পও রয়েছে যা তাকে পাওয়ার প্রভাইট করে। এই মেশিনকে ব্যবহার করে যে কোন অনবিজ্ঞ মানুষ পরিস্কার করার করে ফেলতে পারবে। এই মেশিনের সব থেকে বড় সুবিধা হল যে কোন ধরনের জমির উপর থেকে পরিচালনা করা যায়।

Water pump: ফসলের জন্য পানি কতোটা গুরুত্বপূর্ণ আপনারা সকলেই জানেন। এবং পানি সেচের জন্য Water pump খুবী সাশ্রয়ী হতে পারে। এই বিশেষ ওটার পাম্পটি যে কোনো দুর্গম স্থানে পানি প্রবাহের জন্য আবিস্কার করা হয়েছে। এটার সাক্সের ম্যকারনিজ পানিকে শুষে নিয়ে  স্পে করে দিতে পারে। আর এটা ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রুটেড করতে পারে যার কারনে এটা চার দিক দিয়ে পানি স্প্রে করতে পারে। 

আধুনিক যন্ত্র  ব্যবহারের সুফল ও কুফল

আধুনিক যন্ত্রের যেমন সুফল আছে তেমনি কুফলও রয়েচে। বর্তমান সময়ে মানুষ কৃষিকাজে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে এতে যে রকম ভালো দিক আছে তেমনি ক্ষতিকর দিকও আচে।আধুনিক যন্ত্রের  সুফল ও কুফল সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করার সুফলঃ আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করার ফলে  কৃষকের অনেক সাশ্রয় হচ্চে। এবং ফসলের নষ্ট কম হচ্ছে। আল্প সময়ের মধ্যে ফসল ঘরে তুলতে পারছে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে। ধান কাটা, ধান মাড়াই, ধান ঝারাই  সবি করা হচ্ছে এই যন্ত্রের মাধ্যমে। এতে কৃষকের সময়ের, অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করার ফলে ফসলের ফলনও অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আধুনিক যন্ত্রের মাধমে চাষ ছারাই ধান লাগানো হচ্ছে এতে ফলনের কোনো রকম ক্ষতি হচ্ছেনা। খরচের পরিমান ৭০-৮০%  এবং সময় ৭০-৮২% বাচানো সম্ভব এই কৃষি যন্ত্রটি ববহার করে। ড্রন এর মাধ্যমে বিষ দেওয়া হচ্ছে জমিতে এতে চরিদিকে সমান ভাবে বিষ পরছে ফসলের উপর। কীটপতঙ্গ, রোগ বালাই দমনে ব্যবহার করছে ড্রন। আধুনিক যন্ত্রের সাহায্য সারি বদ্ধ ভাবে লাগানো হচ্ছে ধান এতে অধিক ফলন হচ্ছে।

আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করার কুফলঃ আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের ফলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে জার কারনে ফসলের উৎপাদনও কমে যেতে পারে। এই যন্ত্র ব্যবহার করার ফলে সব্দ দূষণ ও পরিবেশ দূষণ হয়। আধুনিক যন্ত্রের কালো ধোয়া আমাদের অনেক ক্ষতি করে থাকে। এবং যখন তখন এই যন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে বা নষ্ট হয়ে জেতে পারে।

সাধারন কৃষকের পক্ষে সম্ভব না এই প্রযুক্তি কেনার। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে খেটে খাওয়া মানুষের ইনকাম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে তাদের জীবিকা নির্বারাহের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই যন্ত্রের পার্লস নষ্ট হলে অনেক টাকা ব্যয় করতে হয় যা সারা সাধারন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। আধুনিক  যন্ত্রপাতির কারনে অনেক সমস্যায় পরতে হয়। 

প্রাচীন কালের সব জিনিস যেমন লাঙ্গল, মই ইত্যাদি জিনিস বিলুপ্ত হয়ে গেছে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করার ফলে। আধুনিক যন্ত্র আমাদের যেমন উপকার করে তেমন অপকারও করে থাকে। সাধারন মানুষকে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। 

কৃষি ক্ষেত্র কয়টি ও কি কি

কৃষির বিভিন্ন উপাদান বা শাখা কে কৃষি ক্ষেত্র বা কৃষি সেক্টর বলা হয়। কৃষি ক্ষেত্র হোল ৬ টি। চলুন জেনে নেই সেগুলো কি কি।

• মাঠ ফসল

• উদ্যান ফসল 

• মৎস্য সম্পদ

• পোলট্রি

• গবাদি পশু 

• ও সামাজিক বনায়ন

কৃষিক্ষেত্র ৬ টি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতঃ

মাঠ ফসলঃ যেসব ফসল সাধারণত বিস্তির্ণ মাঠে বেড়া বিহীন অবস্তায় সমস্টিগত ভাবে পরিচর্যার মাধ্যমে চাষ করা এবং প্রক্রিয়াজাত করে খাওয়া হয় সেগুলো কে মাঠ ফসল বলে। যেমন- ধান, পাট, গম, আখ ইত্যাদি।

উদ্যান ফসলঃ যে সব ফসল স্বল্প  পরিসর উদ্যানে বা বাগানে বা আঙ্গিনায় চাষ করা হয় তাকে উদ্যান ফসল বলে। যেমন- ফুল, ফল, শসা-সবজি ও মসলা ইতাদি।

মৎস্য সম্পদঃ অর্থনৈতিক ভাবে গুরুত্ব পূর্ণ মাছ সহ মানুষের খাদ্য হিসেবে গ্রহনযোগ্য অন্যোন্য জলজ প্রাণী বা জীবকে মৎস্য সম্পদ বলে। যেমন- ইলিশ, রুই, কাতলা, চিংড়ি ইতাদি।

পোলট্রিঃ যে সকল পাখি মানুষের আয়ত্তে গৃহে লালন-পালন হয়, বংশবৃদ্ধি করে, ডিম ও মাংস উৎপাদন করে, এবং অর্থ উন্নয়নে ভূমিকা রাখে সেগুলোকেই পোলট্রি বলে। যেমন- হাস,মুরগী, কবুতর কোয়েল ইত্যাদি।

গবাদি পশুঃ যে সকল পশু চিত্ববিনোদন বা অর্থনীতিতে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রাখে সেই সকল পশুকে গবাদি পশু বলে। যেমন- ছাগল, ভেরা, গরু, মহিষ ইত্যাদি।

সামাজিক বনায়নঃ জনগণের কল্যাণের জন্য যে সকল রাস্তানেট, বাঁধ, বসতবাড়ি, বনজ সম্পদ বৃদ্ধি বা বনায়ন করা হয় তাকে সামাজিক বনায়ন বলে। যেমন- বসতবাড়ি, প্রাতিষ্ঠানিক বন, কৃষি বন ইত্যাদি।

শেষ কথা

বর্তমানে কৃষিকাজে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এতে কৃষকের খরচ কমছে ও অধিক ফলন হচ্ছে। এই আধুনিক যন্ত্রের কারণে স্বল্প সময়ে মধ্যে ধান ঘরে তুলতে পারে এবং ফসলের নষ্ট হয় না। এতে কৃষকের  সময়ের ও অর্থের সাশ্রয় হয়। এই যন্ত্রের সাহায্য ঘণ্টায় অনেক বিঘা ধান কাটতে পারে। 

এবং এই ক্লিক কার্ড আইটি থেকে অনেক অজানা তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন। মানুষ জীবন ধারনের জন্য জমিতে যে আবাদ বা চাষ করে  সে জমির আবাদ চাষের সঠিক নিয়ম ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করা থাকে।