ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পরা বন্ধ ও চুল লম্বা হওয়ার উপায় জেনে নিন
ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পরা কমানোর জন্য সঠিক নিয়মে তেল ব্যবহার করতে হবে। এবং ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে। বেশি বেশি পানি খেতে হবে এবং পিয়াজের রস চুলের যত্নে ভীষণ উপকার করে। কম বেশি সবাই চুল পরা সমস্যাই ভুগছেন এই সমস্যা সমাধান করতে পারবেন মাত্র ৭ দিনে।
বিভিন্ন সমস্যার কারনে চুল পরে থাকে আবার অনেকের টাক পরে যায় আবার কারো চুল লম্বা হতে চায় না। ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের সব ধরনের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন ৭ দিনে। চুল পরা আটকাতে পিঁয়াজ, আলভেরা, মেথি ও ভিটামিন সি ব্যবহার করতে পারেন এতে চুল পরা বন্ধ এবং চুল কালো ও লম্বা হবে।
পেজ সুচিপত্রঃ
- ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পরা বন্ধ করার উপায়
- চুলে মেথি ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম জেনে নিন
- পাতলা চুল কে ঘন ও মোটা করার উপায়
- চুল পরা বন্ধ করার ৫ টি ঘরোয়া উপায়
- চুল লম্বা হওয়ার ৫ টি টিপস জেনে নিন
- কোন খাবার বা কোন ভিটামিন খেলে চুল পরা বন্ধ হয়
- শ্যাম্পু ও তেল দেওয়ার সঠিক নিয়ম ও সঠিক সময়
- সপ্তাহে কয় বার তেল দিতে হয়
- চুলে আলভেরা দেওয়ার সঠিক নিয়ম
- নুতুন চুল গজানোর ঘরোয়া উপায়
- উপসংহারঃ
ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পরা বন্ধ করার উপায়
বিভিন্ন সমস্যার জন্য মেয়েদের মাথার চুল পরে থাকে। আর চুল পরা বন্ধ করতে অনেকেই অনেক রকম তেল বা রেমেডি মাথায় দিয়ে থাকে। প্রথমে নিতে হবে ২ টা পিঁয়াজ এর পরে পিঁয়াজ দুইটার খোসা ছাড়িয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। এবং কাটা পেঁয়াজ থেকে সব রস বের করে নিয়ে এই রসের মধ্যে দুই চামচ নারিকেল তেল নিতে হবে এবং তারপরে দিতে হবে castor oil এক চামচ তারপর দিতে হবে এক টুকরো লেবু।
লেবুর রস আমাদের চুলের জন্য খুবি উপকারি বিশেষ করে কারো মাথায় যদি ইনফাক্সন থাকে এবং কার মাথায় যদি খুসকি থাকে সেই সমস্যা দূর করে। লেবুর রস চুলের গোরাকে অনেক মজবুত করে। লেবুর রস দিতে হবে ১/২ চামচ। এরপরে সকল রেমেডি ভালো ভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে এবং রেমেডি টি এখন মাথায় ব্যবহার করার জন্য তৈরি। এই রেমিডি ব্যবহার করবেন সপ্তাহে ২/৩ দিন গোসল করার ঠিক ১/২ ঘণ্টা আগে এটি আপনার মাথার স্কালফে লাগিয়ে নিন।
এটা কিন্তু পুরো চুলে লাগাবেন না শুধু মাথার স্কালফে বা মাসে লাগাবেন এর পরে গোসল করার সময় শ্যাম্পু দিয়ে ভালো ভাবে মাথা ধুয়ে নিবেন। আবার চাইলে আপনি ২ চামচ লেবুর রসের সাথে এক চামচ নারিকেল তেল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটি নিতে পারেন। এই তিনটি উপাদান ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন তারপরে আঙ্গুল দিয়ে মাথার মাসে ভালো ভাবে দিয়ে ম্যাসাস করতে হবে। আভাবে সপ্তাহে ২/৩ দিন লাগালে খুব সহজে চুল পর বন্ধ হবে।
চুলে মেথি ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম জেনে নিন
মেথি আমাদের চুলের জন্য কতোটা উপকারি কম বেশি আমরা সকলেই জানি। মেথিতে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ও নেকোটিনিক এসিড রয়েছে যা আমাদের চুলেকে ভিতর থেকে পুষ্টি যোগায় আর চুলকে করে অনেক মজবুত ও শশক্তিশালী। প্রথমে ২ কাপ মেথি একদিন ভিজিয়ে রাখতে হবে। মেথিতে অনেক বেশি প্রাকৃতিক উপাদান থাকে। এবার একটা পেঁয়াজ কে কুচি করে কেটে ২ চামচ রস বের করে নিতে হবে
দুই চামচ পেঁয়াজের রসের সাথে দুই চামচ মেথি ভেজানো জল নিতে হবে এর পরে দিতে হবে নারিকেল তেল এই তেল আমাদের চুলের অনেক উপকার করে থাকে। এবার এগুলোকে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন তারপরে মাথায় ব্যবহার করুন এতে চুল পরা বন্ধ হবে এবং চুল কালো ঘন ও মজবুত হবে। চুল সিল্কি করতে সাহায্য করে মেথি। মেথি সারা রাত ভিজে রেখে বেটে নিতে হবে এবং ওই পানি খেলে চুলের গোরা ভিতর থেকে শক্ত ও মজবুত হবে।
আরো পরুনঃ কৃষিতে আধুনিক যন্ত্র পাতির ব্যবহার সুফল ও কুফল
ইংরেজিতে মেথিকে বলা হয় fenugreek মূলত মেথি হল একটি মৌসুমিক গাছের নাম এর পাতা অনেকে শাক হিসেবে খায়। মেথির ৪ রকমের ব্যবহার যা কিনা সমাধান করবে চুলের সকল সমস্যার। শরীরের আয়োডিন কিংবা ভিটামিনের অভাবে অল্প বয়সের সকলের হতে পারে চুল পাকার মত সমস্যা তাই নারিকেল তেলে কমপক্ষে দুই দিনের মত মেথি ভিজিয়ে রেখে তেল কুসুম গরম করে মাসাস করুন মাথার ত্বকে এতে চুলের সকল সমস্যা সমধান হবে।
পাতলা চুলকে ঘন ও মোটা করার উপায়
পাতলা চুল ঘন করতে আলভেরা ভীষণ কার্যকরী অবদান রাখে। আলভেরা কেটে ধুয়ে উপ্রের খোসা ছাড়িয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল অনেক সিল্কি ও চুলের গোরা অনেক মজবুত হয়। মেহেদি পাতা মাথায় দিলে মাথা ঠাণ্ডা হয় ও চুলের গোরা শক্ত হয় এবং চুল ঘন ও মোটা হয়।।মেহেদি বাটা বা মেহেদি গুড়া, আমলকী গুড়া আর চা এর লিকার একসাথে মিশিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করে নিন। এরপর এটা অন্তত আধ ঘন্টা মাথায় রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
কিছুদিনের মধ্যেই আপনি পেয়ে যাবেন চমৎকার মোটা ও ঘন চুলের গোছা। আলভেরা ব্যবহার করুন আপনার চুলে ঘৃতকুমারী বা আলভেরা থেকে জেল বের করে, ৪ চামচ দুধে তা মিশিয়ে নিয়ে সরাসরি তা চুলের গোঁড়ায় লাগিয়ে নিন। অন্তত ১ ঘণ্টা এভাবে রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুলের গোছাকে মোটাই করবে না বরং চুলকে করে তুলবে আরো কালো ও চকচকে। সপ্তাহে ৩ দিন করে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডিম ও অলিভয়েল চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে হেয়ারপ্যাক বানানোর মতো সময় যদি আপনার না থাকে, তাহলে এই সহজ প্যাকটি কেবল মাত্র আপনার জন্যই। একটা ডিমের সাদা অংশ নিয়ে তার সাথে অলিভয়েল মিশিয়ে ফেটে নিন। তবে আপনি চাইলে এতে মধুও দিতে পারেন। ডিম ও অলিভয়েল আবার এই পেস্টটি চুলের আগা থেকে গোঁড়া অব্দি লাগিয়ে নিন যত্ন করে। ২০ মিনিট পর প্যাকটি শুকিয়ে এলে শ্যাম্পু করে পরিস্কার করে ফেলুন আকনার চুল।
সপ্তাহে অন্তত একবার এটা ট্রাই করে দেখুন। তফাতটা আপনি নিজেই বুজতে পারবেন। মেথি করে তুলবে আপনার চুলকে ঘন আর উজ্জ্বল। আপনি নিশ্চয়ই বিভিন্ন তরকারিতে মেথি ব্যবহার করে থাকেন স্বাদ বাড়ানোর জন্য। সেই মেথিই এবার আপনার চুলর গোছা করে দিবে ঘন ও মোটা। দুই/তিন টেবিল চামচ মেথি একটি পাত্রে নিয়ে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবার মেথিগুলো পাটায় পিষে বা ব্লেন্ড করে তার সাথে দুই টেবিল নারিকেল দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
এই পেস্টটি স্ক্যাল্পে ও চুলে বিলি কেটে সম্পূর্ণ মাথায় প্রলেপ দিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টার মতো এবং শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে নিন। এই হেয়ার প্যাকটি অল্প কিছুদিনের মধ্যই আপনার চুল পরা বন্ধ করবে চুলের ক্ষয় রোধ করবে এবং চুলের গোছ করে তুলবে মোটাও ঘন। দুশ্চিন্তা না করে ঘরে বসেই নিয়ে নিন উপরের উপায়গুলো মাত্র কিছুদিনের মধ্যে আপনার চুলের গোছা মোটা না হয়ে যাবে কোথায়। এগুলো ব্যবহার করলে পাতলা চুল ঘন ও মোটা হবে।
চুল পরা বন্ধ করার ৫ টি ঘরোয়া উপায়
ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজে চুল পরা বন্ধ করতে পারবেন। বিভিন্ন সমস্যার কারনে মেয়েদের চুল পরে থাকে। আর এই চুল পরা বন্ধ করতে ঘরোয়া ভাবে নিচের ৫ টি টিপস ব্যবহার করতে পারেন। ৫ টি জানতে এখানে ক্লিক করুন।
রাতে ঘুমানোর আগে চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত নারিকেল তেল ম্যাসাজ করুন। সকালে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
আলভেরা জেল বেন্ড করে চুলে ১ ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুল পরা কমানো ও মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করবে।
ডিমের কুসুমের সঙ্গে সামান্য অলিভওয়েল ও লেবুর রস মিশিয়ে চুলে ১ ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। এটি চুল পড়া তো বন্ধ করবে এবং দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
অলিভওয়েল চুলে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোঁড়া শক্ত ও মজবুত হবে।
পিঁয়াজের রস চুলের গোঁড়ায় ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এর পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আবার এক লিটার জলের মধ্যে পনেরো থেকে কুরিটা নীম পাতা নিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে মিশ্রণটি ঠাণ্ডা করে বোতলে রাখুন। এরপর সপ্তাহে অন্তত একদিন শ্যাম্পু করার পর এই নিমের জলে চুল ধুয়ে নিন। এর ফলে ইনফেকশন ও খুশকি হবেনা । চুলের গোঁড়া শক্ত হবে এবং খুব সহজে চুল পরা বন্ধ হবে।
কোন খাবার বা কোন ভিটামিন খেলে চুল পরা বন্ধ হয়
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও গোঁড়া আরো শক্ত মজবুত করতে অবশ্যই এর সঠিক পরিচর্যা এবং যত্ন করতে হবে। চুলকে বলা হয় সৈন্দর্যের প্রতীক। আর এটাকে ধরে রাখআর জন্য নিয়মিত চুলের সথিক যত্ন নিতে হবে। চুলকে ভালো ও সুন্দর রাখার জন্য কিছু খাবার রয়েছে যা অনেক কার্যকরি। প্রতিটা চুল শরীর থেকে শক্তি জোগার করে বড় হচ্ছে, তাই যদি প্রয়োজন মতো পুষ্টিকর উপাদান সংগ্রহ করতে পারে, তাহলেই সুস্থ সুন্দর চুল রাখা যাবে। চলুন জেনে নেই চুল ভালো রাখার ১০ খাবারের তালিকা।
- গাজর
- বাদাম
- পালং শাক
- শসা
- ডিম
- পানি ও দুধ
- কমলা লেবু
- পেয়ারা
- সামুদ্রিক মাছ
- মটরশুঁটি
১০ টি খাবার তালিকার বিশ্লেষণ জানতে এখানে ক্লিক করুন
গাজরঃ চুলের উপকারের জন্য প্রধান খাবার হচ্ছে গাজর। পুষ্টিগুণে ভরা একটি গাজরে রয়েছে অনেক উপাদান, যা আমাদের নিয়মিত প্রয়োজন। চুলের স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধির জন্য অনেক উপকারি। গাজরে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি রয়েছে পাশাপাশি রয়েছে অনেক উপাদান।
বাদামঃ চুলের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন বাদাম খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমানে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি৩, ফলিক অ্যাসিড ও প্রোটিন সহ আরও গুরুত পূর্ণ কিছু রয়েছে। অনেক ধরনের বাদাম রয়েছে। এই সব বাদাম পুষ্টি উপাদান এবং তেল ত্বক, চুল, মস্তিস্ক ও হৃদপিণ্ডের জন্য দারুন উপকারি। সকালে বাদাম ভিজানো বাদামের পানি খেতে পারেন। যথেষ্ট উপকার পাওয়া যাবে নিয়মিত বাদাম খেতে পাড়লে।
পালং শাকঃ অনেকেই বলে থাকে, চুলের জন্য সবচেয়ে উপকারি খাবারটি হচ্ছে পালং শাক। কারণ বিভিন্ন ভিটামিন ও নানা খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ পালংশাক। এতে আছে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ, ম্যাগনেসিয়াম, বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি যা চুল ভেঙ্গে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করে ও চুলের বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই চুলের জন্য পালং শাক খেতে পারেন।
শসাঃ পানি জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে শসা অন্যতম। শসাতে আছে যথেষ্ট পরিমাণে সিলিকা, সালফার এবং ভিতামিন- এ সহ বেশ কিছু খনিজ উপাদান। এই উপাদান গুলো চুলের বৃদ্ধি করতে, চুল পরা বন্ধ করতে ও চুলের স্বাস্থ্য আরও উজ্জ্বল করতে যথেষ্ট সহায়তা করে। কাঁচা শসা গুলো শরীরের জন্য অনেক উপকারি।
ডিমঃ চুলের যত্নে প্রতিদিন সকালে সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন। প্রোটিনের অভাবে চুল পরে যায় এবং ডিমে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক দরকারি একটি খাবার। ডিমে রয়েছে অসাধারণ পুস্তিগুন এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, সালফার, ফসফরাস ইত্যাদি। চুলের প্রোটিনের জোগান দিতে ডিম খাওয়া উচিত।
পানি ও দুধঃ পানি ও দুধ শরীরের জন্য কতটা প্রয়োজন ও গুরুত্ব পূর্ণ যা বলার অপেক্ষা রাখেনা। চুল পড়া হ্রাস করতে, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, মাথার বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং সেই সাথে চুলের গোঁড়া শক্ত, মজবুত ও মোটা করার আমিষ, প্রোটিন, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও বি, সি থাকা প্রয়োজন।
কমলা লেবুঃ ভিটামিন সি এর প্রধান উৎস হচ্ছে কমলা লেবু। ভিটামিন সি'র অভাবে চুলের গোঁড়া দুর্বল হয়ে যায়। ফলে চুল দুর্বল হয়ে যায়। ভিটামিন সি'র আন্টি- অক্সিজেন উপাদান এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে চুলকে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করে তুলে। এজন্যই কমলা লেবু খাওয়া দরকর। ভিটামিন সি চুলের যত্নের পাশাপাশি আরও অনেক উপকারি।
পেয়ারাঃ পেয়ারা একটি রুচিশীল ফল, যা সবাই পছন্দ করে। পেয়ারাতে পাওয়া যায় ভিটামিন সি। আর ভিটামিন সি শরীরের রোগ- প্রতিরোধ ক্ষমতায় উন্নতি করে শরীর কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এবং ইতিমধ্যে উপরের পয়েন্টে বলে আসছি ভিটামিন সি চুলের যত্নে কতটা উপকারি।
সামুদ্রিক মাছঃ চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে নিয়মিত নিদিষ্ট ওমেগা এসিড দরকার হয়। উচ্চ মাত্রায় অমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যুক্ত মাছ ত্বক ও চুলের উজ্জলতা বাড়াতে সাহায্য করে। আমাদের চুল প্রায় ৩ শতাংশ অমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডে তইরি। এছাড়াও মাছে সবচেয়ে বেশি আমিষ পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীও।
মটরশুঁটিঃ চুল ভালো রাখতে আরেকটি বিশেষ খাবার হচ্ছে মটরশুঁটি। ভিটামিন, প্রোটিনের পাশাপাশি আয়রনের কারণে ও চুল পরা সমস্যা হতে পারে। মটরশুঁটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত আয়রন। এক কাপ মটর শুটিতে ৮ মিগ্রা আয়রন থাকে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিবেলায় খাদ্য তালিকায় এক কাপ পরি মান মটরশুঁটি খেতে পারেন। প্রতি ১০০ গ্রাম মটরশুঁটি থেকে প্রায় ৮০ থাকে ১০০ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।
শ্যাম্পু ও তেল দেওয়ার সঠিক সময় ও সঠিক নিয়ম
চুলে শ্যাম্পু দেওয়ার সঠিক নিয়ম হল, চুলে শ্যাম্পু করার আগে ব্রাশ চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। পুরো চুল ভিজিয়ে নিন। শ্যাম্পুকে পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন। স্কাল্প ম্যাসাজ করে চুল ধুয়ে নিন। এবার কন্ডিশনার ইউজ করুন। শ্যাম্পু ব্যাবহার করার ১ ঘন্টা আগে চুলে তেল দিতে হবে এতে চুল নরম ও সিল্কি হবে। তেল না দিয়ে শ্যাম্পু করলে চুল খসখসকে হয়।
শরীরের মতো চুলেরও পুষ্টির প্রয়োজন আছে। সঠিক পুষ্টি ও পরিচর্যা না পেলে চুল লম্বা, শক্ত ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল হবে না। আর এজন্য নিয়ম করে চুলে তেল দেয়া খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। কিন্তু এই তেলকে কার্যকরি করার জন্য প্রয়োজন সঠিক নিয়মে তেল লাগানো। তেল দেওয়ার কিছু নিয়ম আছে। তেলের সম্পূর্ণ পুষ্টি পেতে জেনে নেই সেই ধাপগুলো।
আরো পরুনঃ কাঁচা কাঁঠালের গুনাগুন কি? -কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
চুলে তেল দেয়ার আগে তেল কিছুটা গরম করে নিন। কুসুম গরম তেল মাথার তালুতে ব্যবহার করুন। এটি মাথার তালুতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে নুতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। নুতুন চুল গজানোর জন্য ক্যাস্টর অয়েল, রিল্যাস্কের জন্য ল্যাভেন্ডার অয়েল মেশাতে পারেন। তেল দেয়ার পরপরই চুল আঁচড়াবেন না এবং চুল শক্ত করে বাধবেন না এতে চুলের আগা ফেটে যায়। তেল দেয়ার পর কমপক্ষে এক ঘন্টা অপেক্ষা করুন।
সবচেয়ে ভালো হয় তেল সারারাত মাথায় রাখুন এবং পরের দিন শ্যাম্পু করে ফেলুন। অনেকেই মনে করেন চুলে বেশি তেল দিলে ভালো হয় কিন্তু না এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। চুলে বেশি তেল দিলে চুলের ক্ষতি হয়। সপ্তাহে ২/৩ বার মাথায় তেল দেওয়াই ভাল। গোসলের আগে তেল দিলে চুল অনেক সিল্কি ও ঝরঝরে হয় এবং খুসকি দূর হয়।
উপসংহারঃ
আমাদের সকলেই কম বেশি চুল পরা সমস্যা রয়েছে। এজন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমানে পানি খেতে হবে। এবং চুলে মেহেদি পাতা বেটে আলভেরা জেল মিশিয়ে মাথায় দিলে খুব সহজে চুল পরা বন্ধ হয়। এবং চুন অনেক বড়, ঘন ও লম্বা হয়ে থাকে। এছাড়া সপ্তাহে ২/৩ বার তেল দেওয়াই উত্তম এতে চুল অনেক নরম হয়। চুলের জন্য মেথি অনেক উপকারি করে। এজন্য পুষ্টি সমৃদ্ধি যুক্ত খাবার খেতে হবে তাহলে খুব সহজে চুল পরা বন্ধ হবে এবং চুল লম্বা হবে।
এছাড়া চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবিহার করতে পারেন এতে চুল পরা বন্ধ হবে। এবং চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করবে। চুলে তেল দেওয়ার সথিক সময় হল রাত্রি বেলা এবং গোসলের সময় শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলা। তেলের সাথে ক্যাস্টরওয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। উপরোক্ত নিয়ম মেনে তেল বা শ্যাম্পু বা যেকোনো রেমিডি এভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্যবহার করলে চুল পরা বন্ধ ও চুল লম্বা করতে পারবেন খুব সহজে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url