জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে কি হয় বিস্তারিত জানুন

 জিম করার পর কাঁচাছোলা খেলে দ্রুত র্মারসেল তৈরিতে অনেক সাহায্য করে থাকে। কাঁচা ছোলাতে কার্বো হাইড্রেড, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন পাওয়া যায়। আর এটিকে প্রতিদিন সেবন করলে হার মজবুত ও মাংসপেশি মোটা বানাতে পারে। কাঁচা ছোলা আমাদের শরিরের অনেক উপকার করে থাকে। 


  পুষ্টিগুণে ভরপুর ভেজানো কাঁচা ছোলা ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রোটিন ও ফাইবারে পরিপূর্ণ কাচা ছোলায় ক্যালোরিও খুব কম তাই ওজন কমাতে সাহায্য করে। জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে শরিরের ক্লান্তি দূর হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে। জিম শেষ করার সাথে সাথে খাওয়া ঠিক না। অন্তত আধ ঘণ্টা পরে খেতে হবে।

পেজ সুচিপত্রঃ

জিম করার আগে ও পরে কি কি খাওয়া উচিত

জিম করার সময় শরীরের অনেক শক্তি ও জল নষ্ট হয়। এজন্য অরকাউট্রের জন্য আপনাকে আপনার খাবারের বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে। খাওয়ার প্রতি অবহেলা করলে শরীরে দুর্বলতা আসবে এবং আপনার ব্যয়াম করা আপনার জন্য ক্ষতিকর প্রমান হতে পারে। তাই এমন খাবার খেতে হবে যেটায় প্রোটিন, কার্বো-হাইড্রেস্ক আর ফাইবারের মাত্রা অধিক থাকে। আর এ সকল প্রোটিন গুলো কাঁচা ছোলাতে প্রচুর পরিমানে রয়েছে।

আপনি যদি সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যয়াম করা শুরু করেন তাহলে হালকা কিছু খাবেন যেমন দুধ, কলা, আপেল, বাদাম। আর যদি দেরিতে ব্যয়াম করেন ধরুন ৯/১০ দিকে তাহলে ব্যয়াম করার ১ ঘন্টা আগে ভারি নাস্তা করতে পারেন। ব্যয়াম করার আগে প্রোটিন কারব-হাইড্রেডের দরকার হয়। তখন ওই খাবার আপনার শরিরের প্রোটিন, কার্বো- হাইড্রেডের জোগান দেয়। প্রোটিনের জন্য আপনি ডিম খেতে পারেন তবে ডিমের হলুদ আংশ খাবেন না শুধু সাদা আংশ খাবেন। 

ব্যয়াম করার আগে আপনি ১/২ টি ডিম খেতে পারেন। আপনাকে ডিম ও কলা ব্যয়াম করার এক ঘন্টা আগে খেতে হবে। তবে ডিম ভাজা খাবেন না আবশ্যই সিদ্ধ করে খাবেন। ব্যয়াম করার পরে আপনার বডির সব ম্যাসাজ ভেঙ্গে যায়। আর ওটিকে ভরার জন্য আপনাকে প্রটিন নেওয়া দরকার। প্রতিনের জন্য ডিম খেতে পারেন ৪/৫ টা, কলা খাবেন ৪/৫ টা এবং হালকা গরম দুধ খাবেন এক গ্লাস। আবং আপনি চাইলে বাদাম ও কিসমিস খেতে পারেন। 

জিম করার পরে কি কি খেতে হয়

  • ৪/৫ টা ডিমের সাদা আংশ
  • দুইটি কলা 
  • এক গ্লাস দুধ  
  • বাদাম ও কিসমিস

প্রথমে যে ভাবে জিম শুরু করবেন

জিম শুরু করার আগে আপনারা অবশ্যই ফেয়ান করে নিবেন যাতে র্মাসেল ইনজুরি না হয় ফেয়ান না করলে র্মাসেল ইনজুরি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। নুতুন যারা জিমে আসবেন তারা প্রসাব দিয়ে শুরু করবে। চেজটা সামনে দিবেন এবং ১০টা প্রসাব দিবেন। যারা অয়াইভ প্রসাব না দিবেন তারা হাঁটু ভেঙ্গে দিবেন। প্রসবের পরে নিবেন দাম্বেল ফ্লাই যেহেতু আপনারা নুতুন সেজন্য দাম্বেল ফ্লাই নিবেন ২.৫ কেজি। হাত হালকা একটু বেঁকে নিবেন এতে চেস্ট অনেক বড় হয়।

এই দাম্বেল ফ্লাই দেওয়ার সময় তিন সিপ্টি দিতে হবে ১০ টা করে। দাম্বেল ফ্লাই দেওয়ার পরে আপনারা দিবেন মেশিন ব্লাট ফ্লাই এটা দিতে হবে ৩ সেট করে প্রতিটা সেট রেস হবে ১২/১৫ করে। এই ব্যয়াম করে চিজটা অনেক বড় হবে এবং র্মাসেল গ্রো হবে। মেশিন ব্লাট ফ্লাইয়ের পরে আপনারা করবেন লেগ পুল ডাউন এটা ৩ সেট করে প্রতিটা সেটে দিতে হবে ১০/১২ করে যেহুতু আপনারা নুতুন সেহুতু একদম কম ওয়েট দিয়ে করবেন।

লেগ পুল ডাউনের পরে করবেন সাইড্রেস্ক এটা নিবেন ২.৫ কেজি। সাইডেস্ক দিবেন ৩ সেট করে প্রতি সেটে রেস থাকবে ১০/১২ টা। এবং দেলের সাথে হাতের সমান থাকতে হবে তাহলে আপনার র্মাসেলে সঠিক ভাবে লাগবে। এর পরে করবেন দাম্বেল সোল্ডার পেজ সব গুলোর মতো এটাও তিন সেট করতে হবে আবং প্রতি সেটে ১২/১২ করে। যেহুতু আপনারা নুতুন সেহুতু সব গুলো একি নিয়মে করতে হবে। এরপরে নিবেন বারবেল এটা করার সময় হাত বাকা করা যাবেনা উপরের আংশটুকু।

কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

সাখারি খাবারের মধ্যে ছোলাকে বেশ পুষ্টির আহার হিসেবে ধরা হয়। কারন এর মধ্যে প্রোটিনের মাত্রা বেশ ভালো মাত্রা হয়ায় সাথে সাথে অনন্য নিউটেন গুলো এর মধ্যে পাওয়া যায়। কিন্তু এটাও বুজতে হবে যেকোন খাবারের ভালো গুন শরিরে পেতে হলে সেই খাবারের ভালো দিক আর খারাপ দিকের সম্পর্কে জানতে হবে। খাবারের সঠিক সময় আর সঠিক নিয়ম জানতে হবে চলুন জেনে নেই কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা।

ছোলাতে সব থেকে বেশি মাত্রায় প্রটিন ও কার্বো- হাইড্রেড পাওয়া যায়। আর তাছারা folic acid. manganese. iron. potassium. copper. zinc আরো অনন্য ভিটামিন ও মিনারেলস অনেক মাত্রায় পাওয়া যায়। এছাড়াও ছোলাতে ফাইবারের মাত্রা বেশ রয়েছে যেটা কার্বো- হাইড্রেডকে রেকুরেট করার সাথে সাথে কোষ্ঠ কাঠিন্যকে দূর করে, পাচন প্রক্রিয়াকে আরো ভালো করে কাজ করার জন্য সাহায্য করে। ছোলা ওজন বারাতে ও কমাতেও সাহায্য করে।

ছোলা পুষ্টিকর খাবার বলেই যে  ইচ্ছেমত খাওয়া যাবে তা কিন্তু নয়। মাত্র এক কাপ ছোলা খাবেন, এক কাপ ছোলায় থাকে ১০ থেকে ১৫ গ্রাম প্রোটিন, ৯ থেকে ১২ গ্রাম ভোজ্য আঁশ, ৩৪ থেকে ৪৫ গ্রাম কার্বো- হাইড্রেইট। তাই পরিমান মতো খেতে হবে। কাঁচা ছোলা খেলে যে ৬ টি রোগ ভাল হয় জেনে নিন।


কফ ভালো হয়ঃ শ্বাসনালীতে জমে থাকা পুরনো কাশি বা কফ ভালো হওয়ার জন্য ভাল কাজ করে কাঁচা ছোলা। প্রচুর পরিমানে ডায়াটরি ফাইবার বা আঁশ রয়েছে এই ছোলায়। ডায়াটরি ফাইবার খাবারে অবস্থিত পাতলা আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

আস্থির ভাব দূর হয়ঃ ছোলায় শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেস্কের পরিমান কম থাকায় শরীরে প্রবেশ করার পর অস্থির ভাব দূর করে। 

খাদ্যনালী ভালো রাখেঃ ছোলা খাদনালিতে ক্ষতিকর জীবাণু দূর করে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কমায়। এ ছারা ছোলার শর্করা গুলকোজ হয়ে দ্রুত রক্তে যায় না। তাই ডায়াবেটিকস রোগীর জন্য ছোলা খুবী উপ কারি খাবার।

রক্তের চর্বি কমায়ঃ ছোলার ফ্যাটের বেশির ভাগই পলি আনস্যাচুয়েটেড। এই ফ্যাট শরীরের জন্য মোটে ও ক্ষতিকর নয়, বরং রক্তের চর্বি কমায়। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে আমিষ ও অ্যান্টি বায়োটিকের চাহিদা পুরন হয়।

স্বাস্থ্যবান বানায়ঃ আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান বানায় এবং অ্যান্টি বায়োটিক যেকোনো অসুখ এর জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ছোলা খাওয়ার পর বেশ অল্প সময়েই হজম হওঁয়।

হৃদপিন্ডের রোগ সারায়ঃ অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা দেখিয়েছেন যে, খাবারে ছোলা যুক্ত করলে খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমে যায়। ছোলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের  খাদ্য আঁশ আছে যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

ছোলা খাওয়ার অপকারিতাঃ 

কাঁচা ছোলা আমাদের যেমন উপকার করে তেমনি অপকারও করে থাকে। ছোলা সঠিক নিয়মে না খেলে বা বেশি খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। ছোলা বেশি খেলে ওজন বারতে পারে কারণ ছোলাতে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন থাকে। যাদের রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমান বেশি আবার ক্রিয়োটিনিনের পরি মান বেশি এ ধরনের মানুষ কখনোই কাঁচা ছোলা খাবেন না। আবার কাঁচা ছোলা খাবার পরে যাদের অতি রিক্ত গ্যাস, বদহজম ও ডায়রিয়া সমস্যা হয় তারা খাবেন না।

কাঁচা ছোলা  খাওয়ার দুই ঘন্টা আগে বা পরে কখনোই দুধ জাতীয় খাবার খাবেন না। এতে শরীরে বিষ ক্রিয়া তৈরি হয়। এই বিষক্রিয়া থেকে ধীরে ধীরে আপনার হজমে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হবে। এমনকি এত পরিমানে গ্যাস  হবে যে, হঠাত করেই হার্ট অ্যাটাকের মত ঘটনাও ঘটতে পারে। এছাড়া হাড় জয়েন্টের ব্যথা হবে, কারণ আপনার পিত্ত জনিত রোগ বেড়ে যাবে। 

ভিনেগার জাতীয় আচারও খাবেন না। সেটা আপেল সিডার হোক বা যেকোনো সাধারন ভিনেগার  হোক। ভিনেগার কিন্তু আচার সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার হয়। তাই কাঁচা ছোলা খাওয়ার পরে আচার খাওয়া যাবে না। আর করলার জুস বা রান্না করা করলাও খাবেন না কাঁচা ছোলা খাওয়ার পরে। নুন্যতম ২ ঘন্টা বিরতি দিয়ে খাবেন।

জিম করার উপকারিতা ও অপকারিতা 

উপকারিতাঃ আমাদের জীবনের জন্য শরীর চর্যা অত্যান্ত গুরুত্ব পূর্ণ। ব্যয়াম করার সময় মাংসপেশি, রক্তনালী লবনি শরীরকে মালিশ করে। ফলে রক্ত সঞ্চালন ক্লিয়ার ও উন্নতি হয়। রক্ত সঞ্চলনের ভারসাম্যতা রক্ষার সর্ব প্রথম কথা হচ্ছে শরীর চর্যা করা। শারীরিক ব্যয়াম মানব দেহের অক্সিজেনের সর্বারহ বারিয়ে দেয়। রোগ বালাই কমিয়ে দেয় এবং নিয়মিত ব্যয়ামের ফলে শরীরের চর্বি কমায়। যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগে তাদের নিয়মিত ব্যয়াম করা প্রয়োজন। 

ব্যয়াম কিছু কিছু ক্যান্সার  যেমন বেস্ট ক্যান্সার, কোলোন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। যারা দীর্ঘ সময় ধরে মাংশপেশি বা শক্তি ও হারের ব্যথায় ভোগে ব্যয়াম দ্বারা সেই ব্যথা নিয়ন্তন রাখতে পারে। নিয়মিত ব্যয়াম ভাইরাসের আক্রমন থেকে দেহকে সুরক্ষিত করে। আবার ধমনীতে অবাঞ্চিত কীট থাকলে তার নিঃসরণ ও ঘটায়। শারীরিক ব্যয়াম মানসিক অবস্থা উন্নতি করে, মানসিক চাপ ও মন ধরা ভাব দূর করে দেয়। সাথে সাথে স্মরণ শক্তিরও বৃদ্ধি ঘটায়।

এবং মানসিক সচলতা বজায় রাখে। নিয়মিত ব্যয়াম হারের গঠনকে শক্তিশালী করে এবং সমন্বিত অবস্থা উন্নতি ঘটায়। ব্যয়াম রোগ প্রতিরোধে উইনিন সিস্টেমে কার্য ক্ষমতা বারিয়ে দেয়। ব্যয়াম করলে শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে।জিম করলে শরীর সুস্থ থাকে ও অক্সিজেনের সর্বাহ বারিয়ে দেয়।

অপকারিতাঃ ব্যয়াম করার পর খিদে অনেক বেরে যায় তখন বেশি খাবার খেয়ে নিলে ক্ষতি করে। এবং এতে বদহজম দেখা দেয়। খাবার বডিতে না লাগা সমস্যা দেখা যায়। তাই খাবারটি একবারে নাখেয়ে বারে বারে খান। যখন আপনারা ব্যয়াম করবেন তখন ফ্যন বা এসি চালাবেন না এতে শরীরের ঘাম শুকিয়ে যাবে আর কোষের ক্ষতি করবে। অরকাইড করার পর গরম জল বা গরম দুধ পান করলে শরীরের মার্সেল রিকভারিকে স্লো করে দেয়।

সাধারন প্রশ্ন উত্তরঃ

প্রশ্নঃ জিম করার পর কি খেতে হয়?

উত্তরঃ জিমের সময় শরীরে সুগারের মাত্রা কমে যায়, তাই ভাত সুগার বাড়াতে সাহায্য করে, যা একান্ত প্রয়োজনীয়। প্রচুর পরিমানে প্রোটিন, কার্ব-হাইড্রেট, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম প্রভৃতি। এনার্জি বাড়াতে মোক্ষম ভুমিকা পালন করে ড্রাই ফ্রটস। বাদাম শরীর চর্চার এক অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য।

প্রশ্নঃ জিম করার সঠিক সময় কখন?

উত্তরঃ ব্যায়াম করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে দুপুরের পর বিকেলে। ঘুম থেকে ওঠার ৬ ঘণ্টা পর এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যে। যাদের ভারী এক্সারসাইজের পরিকল্পনা রয়েছে তারা দিনের বেলায় যে কোনো একটি সময় বেছে নিন। লাঞ্ঝ করার পর বসে না থেকে হালকা হাঁটুন।

প্রশ্নঃ জিম করার পর ছেরে দিলে কি হয়?

উত্তরঃ ব্যায়াম ছেরে দিলে ওজন দ্বিগুণ হয়ে যায়, এটা একদম ঠিক নয়। আসলে নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের মাসল রেশিও ভালো থাকে। শরীরের মেদ ঝরে ও মাসল টোন ভালো থাকে। ব্যায়াম বন্ধ করে দিলে মেদ ঝরে না এবং মাসল টোন কমে যায়।

প্রশ্নঃ সকালে জিম করার উপকারিতা কি?

উত্তরঃ সকালে আধ ঘন্টা বা ৪০ মিনিট শরীর চর্চা করতে পারলে গোটা দিন ঝরঝরে লাগে। নিয়মিত শরীর চর্চা এন্ডর ফিরন নামক একটি হর্মোনের নিংসরন বারিয়ে দেয়। তাতে মন ভাল থাকে ফলে ব্যায়ামের পরে ক্লান্ত লাগে না, বরং আনন্দ হয়। 

প্রশ্নঃ জিম করার পরে কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়?

উত্তরঃ কাঁচা ছোলা দ্রুত মাসল তৈরিতে সহয়াতা করে। এতে কলাও বেশ কার্যকরি ভূমিকা রাখে। প্রতি দিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ খাওয়ার চেষ্টা করুন। বিঃদ্রঃজিম করলে শরীর অনেক উত্তে জিত হয়ে পরে।

প্রশ্নঃ জিম করার আগে কি খাওয়া উচিত?

উত্তরঃ এক্সারসাইজের ৩০ মিনিট আগে খেতে পারেন এক কাপ ওটস। এক পিস ব্রাউন ব্রেডে থাকা কার্বো হাইড্রেট এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। সঙ্গে সিদ্ধ ডিম ও মধু জোগায় প্রোটিন। এক্সারসাইজের ৪৫ মিনিট  আগে খান।

প্রশ্নঃ সপ্তাহে কতদিন জিম করা উচিত?

উত্তরঃ প্রতি সপ্তাহে ১৫০ থেকে ৩০০ মিনিট মাঝারি ব্যায়াম বা ৭৫ থেকে ১৫০ মিনিট উচ্চ গতিতে ব্যায়াম করা উচিত। পেশী শক্তিশালী করণের জন্য সপ্তাহে অন্তত দুদিন ব্যায়াম করাও অনেক কষ্ট কর। আপনি মনে করতে পারেন কয়াক ঘণ্টা জিমে ঘাম ঝরালে তা আপনার জন্য উপকারী প্রত্যেক ব্যাক্তির হিসেবে ব্যায়ামের ধরন পার্থক্য হবে। 

প্রশ্নঃ খাওয়ার কতক্ষণ পর ব্যায়াম করা উচিত?

উত্তরঃ ব্যায়ামের অন্তত দুই ঘণ্টা আগে ভারী খাবার খেতে হবে। ভারী খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়াম করা ঠিক নয়। আবার একদম খালি পেটেও ব্যায়াম করা যাবে না। ব্যায়ামের আধা ঘণ্টা আগে  একদম অল্প করে ফল খাওয়া যেতে পারে।

প্রশ্নঃ ব্যায়ামের কতক্ষণ পর পানি খাওয়া উচিত?

উত্তরঃ ব্যায়াম করার পর শরীর থেকে ভালো পরিমান পানি বেরিয়ে যায়। তাই এ অবস্থায় শরীরে পানির  জোগান ঠিক রাখতে হবে। তবে শরীর চর্চার পরপরই বেশি পানি পান করলে তাপমাত্রার ওপর হঠাত প্রভাব পড়ে। তাই শরীর চর্চার পর মোটামুটি ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর ভালো পরিমাণে পানি পান করুন।


প্রতিদিন সকালে যে ৭ টি ব্যয়াম  করা দরকার

প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকে এবং অনেক রোগের কবল থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আর সকাল বেলা হাঁটলে ডায়াবেটিকস নিয়ন্তনে থাকে ও মেদ ভুরি কমে যায়। স্বাস্থ্যই সম্পদ তাই আমা দের প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করা উচিত। ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করলে শরীর ও মন দুটোই ফ্রেশ হয়ে ওঠে। সকাল বেলা ব্যায়াম করলে আপনার রক্ত সঞ্চালন বারবে, জয়েন্টের জরতা কমবে, ব্রেন ফাংশন বারবে। চলুন দেখে নেই প্রতিদিন সকালে যে ৭ টি ব্যায়াম করবেন।

হাঁটা অথবা জগিংঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটা বা দৌড়ানো হলো সব থেকে উতিস্ট ব্যায়াম। সকালে জগিং করলে আপনার শরীরের মেদ কমে যাবে। এবং জগিঙ্গের ফলে আপনার শরীর সারা দিন চনমনে থাকবে। প্রতদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট জগিং করুন, হাঁটার সময় হাত দিয়ে হাঁটার চেস্টা করুন। সকালে ব্যায়াম করার আগে বেশী ভারী খাবার খাওয়া যাবে না। সামান্য ছোলা ও তার পাশাপাশি ইউসুব গুলের ভুসি খেতে পারেন। 

ডিপ স্কোয়াটঃ ডিপ স্কোয়াট করে থাকবেন ৩০ সেকেন্ড। কষ্ট হলে প্রতিদিন একটু একটু করে সময় বাড়িয়ে দিন। আর খুব সহজ মনে হলে ১ মিনিট থাকতে পারেন। 

স্ট্রেচিং এক্সারসাইজঃ রাতের ঘুমের পর আমাদের  শরীর যেন আটকে থাকে। আর তাই সকালের ব্যায়াম আমাদের স্ট্রেচিং খুবী উপকারী ও দরকারি। স্ট্রেচিং করলে শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। যদি নিয়মিত স্ট্রেচিং করেন তাহলে শরীরের নানা ব্যাথা অতি সহজে নিরাময় করে। আপনারা নিয়মত সকাল বেলা সাইড ব্যান্ড, ফ্রন্ট ব্যান্ড, স্ক্রাঞ্ছ, আরম সুইং, হেড সুইং ইত্যাদি স্ট্রেচিং ব্যায়াম গুলো করেতে পারেন।

দরি লাফঃ কম সময়ের মধ্যে দরি লাফ একটি খুবী কার্যকরি ব্যায়াম। দরি লাফের জন্য বেশী জায়গা লাগে না। সকালে প্রতিদিন ৫/১০ মিনিট দরি লাফ করা উচিত। প্রথমে অল্প করে করতে হবে পরে আস্তে আস্তে এর পরিমান বারাতে হবে। 

পুশ আপঃ পুশ আপ সকলের খুব পরিচিত একটা ব্যায়াম। পুশ আপ যদি সঠিক নিয়মে করা হয় তাহলে খুব দ্রুত আপনাদের শরীরের গঠন পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। দুহাত মাটিতে রেখে মাথা ও পা সম তলে রেখে আস্তে আস্তে উপর নিচ করাই হলো পুশ আপ। এই ব্যায়াম করলে বুক, পেট, কোমর, ঘার ইত্যাদি অনেক অংশের উপর এর প্রভাব পড়ে যা সকলের জন্য খুবী কার্যকরী।

লেগ রাইজঃ সকালের ব্যায়ামের তালিকায় লেগ রাইজ একটি খুবী গুরুত্ব পূর্ণ ব্যায়াম। এই ব্যায়াম মূলত আমাদের মেদ কমানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই ব্যায়াম আপনাদের পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর জন্য এবং নিজেকে স্লিম  ও ফিট বানানোর জন্য করতে পারেন। আকাশের দিকে মুখ করে মাটিতে সমতল ভাবে শুয়ে পড়ুন, তারপর আপনার পা দুটো একসাথে উপরে তুলুন।

পা উপর থেকে এবার ধিরে ধিরে নিচে নামান।নিচে নামানোর সময়ে অবশ্যই আপনাদের মাথা, পিট ও হাত মাটিতে মিশিয়ে রাখতে হবে। এতে করে আপনি আপনার পেট, তলপেট ও বুক টান অনুভব করবেন।

ইয়োগা বা যোগ ব্যায়ামঃ ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করার আগে মাত্র ৯ মিনিট এই ব্যায়ামটি অবশ্যই করার চেস্টা করবেন। এই এক্সারসাইজ গুলো করে ১ মাসেই আপনি অভাবনীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। যেমন আপনার ওজন কমে যাবে, ডায়েটিশন অনেক ইমপ্রুভ করবে, ব্যাকার নেক ব্যাথা থেকে মুক্তি মিলবে, স্টেজ বা টেনশন একদম কমে যাবে। 

লেখকের শেষ কথাঃ 

জিম করার পর কাঁচা ছোলা খেলে শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয়। কাঁচা ছোলা আমাদের অনেক উপকার করে থাকে। এতে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ও অনন্য ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে। জিম করার সময় কাঁচা ছোলা  খেলে কোষ ও পেশি গঠনে সাহায্য করে। তবে ছোলা অনেক অপকারও করে। তাই সঠিক নিয়ম মেনে ছোলা খেতে হবে।

জিম করার সময় অবশ্যই খাবার রুটিন মেনে খেতে হবে এতে শরীরের কোনো ক্ষতি হবেনা। জিম করলে অবশ্যই নিয়মিত করবেন, এতে আপনারই উপকার হবে। জিম করতে করতে বাদ দিবেন না বাদ দিলে আপনার মেদ ও ওজন বেরে যাবে। তবে কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো না প্রতিটি কাজি লিমিটে বেশি করা ঠিক না। এতে আপনার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই সঠিক নিয়ম মেনে জিম করবেন।

  






  


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url