ঘরে বসে গোল্ড ফেসিয়াল করা এবং গোল্ড ক্রিম ব্যবহার করার পদ্ধতি

ঘরে বসে গোল্ড ফেসিয়াল করতে পারবেন খুব সহজে কোন রকম জামেলা ছারাই। কালো, ফরসা, শ্যামলা সবাই ফেসিয়াল করতে পারবেন, তবে যাদের মুখে অনেক বোরন আছে, মুখে কিছু দিলে চামরা উঠে যায় বা চামরা অনেক নরম তারা গোল্ড ফেসিয়াল করবেন না। এই ফেসিয়ালটি মাসে সর্বচ্চ এক বার করতে পারবেন। 


পার্লারের মতো ফেসিয়াল করতে পারবেন ঘরে বসে এতে ত্বকের কোন ক্ষতি হবে না। তবে যাদের শরীরে অ্যালার্জি আছে তাদের এই ফেসিয়ালটি না করাই ভালো এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। যাদের স্কিনে মেস্তা আছে তারাও ফেসিয়ালটি করতে পারবেন।ফেসিয়াল করার সময় প্যাকটি ভুলেও চোখে দিবেন না।

পেজ কনটেন্ট সুচিপত্র

ঘরে বসে গোল্ড ফেসিয়াল করার সঠিক নিয়ম

ঘরে বসে গোল্ড ফেসিয়াল করার আগে চুল টা আবশ্যই ভালো করে বেধে নিবেন। প্রথমে ফেসওয়াস দিয়ে ২/৩ মিনিট ম্যাসাজ করে মুখ ধুয়ে নিবেন এর পর মুখটা একটা সফট কাপড় বা ট্রাভেল দিয়ে মুছে নিবেন। ফিনযার দিয়ে মুখটা কে ২/৩ মিনিট ম্যাসাজ করবেন তারপরে ভেজা ট্রাভেল টা দিয়ে মুখটা মুছে নিবেন। গোল্ড ফেসিয়াল ম্যাসাজ ক্রিমটা দিয়ে ৫/৭ মিনিট ম্যাসাজ করে নিয়ে আবার স্কিন টা ক্লিন করে নিবেন।

এবার নিতে হবে গোল্ড জেল এই জেলটা কিন্তু স্কিন টাকে সুন্দর স্মুধ করে পাশাপাশি একটা গ্লো এনে দেয়। গোল্ড জেলটা দিয়ে ৩/৪ মিনিট ম্যাসাজ করে নিবেন। চোখের চারপাশটা ভালো করে ঘুষে নিবেন এতে কালো দাগ দূর হবে। ম্যাসাজ করার পরে আবার মুখটা ক্লিন করে নিতে হবে। এবার দিতে হবে গোল্ড প্যাক তবে এটা দিয়ে সাথে সাথে মুখ মোছা যাবে না। এই প্যাকটি লাগিয়ে ১০ মিনিটের মতো রেখে দিতে হবে। তারপরে হাতটা হালকা ভিজিয়ে নিয়ে আবার ম্যাসাজ করতে হবে ৫/৭ মিনিট।

এরপরে ট্রাভেল দিয়ে স্কিন পরিস্কার করে নিয়ে ২৪ ক্যারেট গোল্ড শিপমাসটা। এরপরে শিপমাসটা কেটে নিবো এর ভিতরে প্রচুর সিরাম থাকে। সিরামে ভরপুর একটা শিপমাস। তারপরে এটা মুখের উপর বসিয়ে দিয়ে রেখে দিবেন ১০/১৫ মিনিট। এরপরে শিপমাসটা তুলে নিবেন দেখেন মুখে প্রচুর সিরাম লেগে আছে। এখন এই সিরাম গুলোকে হাত দিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করে স্কিনে মিশে নিবেন। এই সিরামটি মুছে বা ধুয়ে ফেলবেন না এটাই স্কিন কে বেশি গ্লো করে।

যেভাবে ঘরে বসে গোল্ডেন ব্লিচ তৈরি করবেন

ফেসিয়াল করার আগে ব্লিচ করাই ভালো এতে বেশি ম্যাসাজের প্রয়োজন হয়না। প্রথমে স্কিনটা ক্লিনকরে নিবেন একটা ভেজা সপ্ট রুমাল দিয়ে। এই ভেজা রুমালের উপর দিয়ে দিব কয়েক ফোটা ট্রোনা এটা আপনার স্কিনের ময়লা বা যেকোনো কিছু একদম ক্লিন করে দিবে। সে জন্য চেষ্টা করবেন ট্রোনার দিয়ে এভাবে ক্লিন করার। ব্লিচ করার জন্য প্রথমে একটা পরিষ্কার বাটি নিয়ে নিবেন তারপরে ব্লিচ ক্রিমটা পরি মান মতো নিতে হবে যাতে মুখ, গলা এবং ঘাড়ে হয়ে যায়। 

এরপরে এর সাথে মিশাবো সল্টটা। যতটুকু ক্রিম নিবেন তার এক চতুর্থ অংশ সল্ট নিতে হবে এবার ক্রিম আর সল্টটা ভালো ভাবে মেশাতে হবে। এবার এটা ভ্রু আর চোখের চার পাশ বাদ দিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে নিবেন। ব্রাশ বা হাত দিয়ে ব্লিচ টা স্কিনে লাগাতে পারবেন। এই ব্লিচটা মুখে ৬/৭ মিনিট আথবা বড় জোড় ১০ মিনিট রাখতে পারবেন।ব্লিচ মাসে ১ বার করবেন তবে যাদের স্কিনে কালো স্পট বা মেস্তা আছে তারাই মাসে ২ বার ব্লিচ করবেন। 

তবে মাসে একবার ব্লিচ করাই ভালো বেশি ব্লিচ করলে স্কিনের ক্ষতি হবে। ৭/৮ মিনিট রাখার পরে স্কিনটা ক্লিন করে নিবেন। ব্লিচের এই প্যাক টি খোলার পরে ব্যবহার করতে পারবেন ৬/৭ মাস পর্যন্ত। ব্লিচ টা সাত থেকে আট মিনিট রাখার পরে এটা ব্রাশ দিয়ে তুলে নিবেন কোন ভাবেই হাত লাগাবেন না। তবে যে দিন ব্লিচ করবেন সেইদিন নাইট ক্রিম লাগাবেন না। এমনি সাধারন ক্রিম ব্যবহার করবেন।  

গোল্ড ক্রিম ব্যবহার করার নিয়ম জেনে নিন

গোল্ড এমন একটা ক্রিম যা ব্যবহার করলে স্কিন অনেকটা ফর্সা হবে, কালো দাগ দূর হবে, বয়সের ছাপ দূর হবে, স্কিনটা টানটান হবে এবং আরো অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই ক্রিম টা থেকে ভালো ফলা ফল পেতে হলে আবশ্যই আগে ভালো করে ফেসওয়াস দিয়ে মুখটা ক্লিন করে নিতে হবে। তারপরে ক্রিম টা মুখে ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু এটা একটা নাইট ক্রিম সেহেতু এটা আবশ্যই রাত্রে মাখতে হবে।

এই ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক অনেক ফর্সা হয় এবং ত্বক অনেক টানটান হয়। তবে এটা যতদিন ব্যবহার করবে ততদিন ফর্সা থাকবে আর এটা ব্যবহার করা বাদ দিলে স্কিন আবার আগের মত হয়ে যাবে। এই ক্রিম টা লং টাইম ধরে ব্যবহার করলে স্কিন অনেক পাতলা হয়ে যাবে। এই ক্রিম ব্যবহার করার সময় অন্য কোন নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে পারবেন না। এই ক্রিম রাত্রে মেখে সকালে সূর্য ওঠার আগেই মুখ ফেসওয়াস দিয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।

সূর্যের আলো মুখে লাগলে স্কিনে কালো স্পট পরে যাবে। তাই মুখটা ভালো ভাবে পরিস্কার করে সাধারন স্নো মাখতে হবে এতে মুখের উজ্জলতা বারবে। আসল গোল্ড চেনার উপায় হোল ৩ টি। অটো সিল কর্তি পিন্ট মেশিন দ্বারা উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তির্ন তারিখ পিন্ট করা থাকবে। এবং কভারের সাথে ফেসওয়াস এর ছবি দেওয়া থাকবে। আর পুরো কভার টা আটকানো থাকবে। 

কতো বছর বয়স থেকে কতো বছর বয়স পর্যন্ত ফেসিয়াল করতে পারবেন

আমরা ত্বকের যত্নে বারিতে নিয়মিত ফেসওয়াস, ট্রোনার, মস্ট্রিট্রাইজার, সান্সক্রিম সমস্ত কিছু ব্যবহার করি। আপনি যদি আপনার ত্বকের ভালোর জন্য ফেসিয়াল করাতে চান তাহলে মাসে একবার ফেসিয়াল করাই ভাল। ১৬ বছর থেকে ফেসিয়াল করতে পারেন। এর আগে ফেসিয়াল করা উচিত না কারন তখন ত্বক অনেক পাতলা থাকে। এবং সব সময় হারবাল ফেসিয়াল করাই ভাল। ১৬ বছর পর থেকে আপনার ইচ্ছা মতো বয়স পর্যন্ত ফেসিয়াল করতে পারবেন।

ফেসিয়াল করার মুল কারন হল  ত্বক পরিস্কার রাখা। আর ত্বক পরিস্কার রাখার কাজটি সকল বয়সেই করা প্রয়োজন। অল্প বয়স থেকেই ত্বক পরিস্কার করার সচেতনতা গ্রহণ করলেই বয়স বাড়ার পর পর্যন্ত আপনার ত্বক থাকবে আকর্ষণীও। ১৭ থেকে ২০ বছর এ বয়সে ত্বকের তৈলাক্ত বেশি থাকে যার প্রভাবে ত্বকে বোরন ওঠার প্রবণতা দেখা দেয়। এই বয়সে ত্বক পরিস্কার রাখার গুরুত্ব বেশি দিতে হবে কারন এই সময় ছেলে মেয়েরা বাহিরে বেশি থাকে।

তাই এই বয়সে হলুদ, শসা, পুদিনা পাতা, মধু এই উপাদান সমৃদ্ধ ফেসিয়াল করা ভাল। এ ক্ষেত্রে আপনি বেছে নিতে পারেন গোল্ড ফেসিয়াল। ২১ থেকে ৩০ বছর বিশ বছর পর থেকে যে কেউ ফেসিয়াল করতে পারেন। ত্বকের নানা সমস্যা হয় যেমন শুষ্ক সাধারণ তৈলাক্ত ত্বক ভেদে এই সমস্যা না থাকলে হারবাল ফেসিয়াল করাই ভালো। এছাড়া গোল্ড ফেসিয়াল সব ধরনের ত্বকের জন্য প্রযোজ্য। তাছারা এটা সব ধরনের বয়সের জন্যই উপকারি। 

তবে বিয়ের কনের জন্য গোল্ড ফেসিয়াল খুব ভালো ফলা ফল দেবে। কারন এটা ত্বকের সুন্দর একটা সোনালি আবাহা এনে দিতে সাহায্য করে। ৩১ থেকে ৪০ বছর এই বয়সে ত্বকের পরিবর্তন হতে থাকে। তাই ত্বকের কমফেলেক্সন পরিবর্তন করার লক্ষে এমন ফেসিয়াল করতে হবে। যা ত্বকে হাইড্রেড ময়েস্রা রাইজা করে। এসময় তাই কাজের ফলে সকল ধকল থেকে পতিত্রান প্রতে হালকা ম্যাসাজ দিয়ে ফেসিয়াল করতে হবে। এই বয়সে ফ্রূট ফেসিয়াল দারুন কার্যকরী হতে পারে। 

৪১ থেকে ৫০ বছর এই বয়সে চেহারাই বয়স্কের ছাপ পরা শুরু করে। কিন্তু এই অবস্থায় কখনই রুপ সচেতনদের কাছে গ্রহন যোগ্য হয়না। সাধারণত ৪৫ বছর পর থেকে এ সমস্যা দেখা দেয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে এই অবস্তা আগেই দেখা দিতে পারে। তাছারা বয়সের ছাপের পাশাপাশি ত্বকে কালো কালো ছাপ পরতে দেখা দেয়। তাই এগুলো দূর করতে ভিজিট্যাবল ফিলিং, থার্মো হারবের ফেসিয়ালটি করা প্রয়োজনীয়। এতে চেহারার কালো দাগ স্পট চলে যাবে। 

ফেসিয়াল করার পরে যে ৬ টি ভুল করবেন না

ফেসিয়াল করার পর আমরা অজান্তেই এই ভুল গুলো করে থাকি যা ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। চলুন দেখে নেই ফেসিয়াল করার পর কি কি করা একে বারেই উচিত নয়।

ত্বকে স্ক্রাবিং করবেন নাঃ ত্বকে স্ক্রাবিং বা এস্কফুলিয়েট করবেন না। ফেসিয়াল করার ২/৩ দিনের মধ্যে স্ক্রফ করবেন না। ফেসিয়াল করার সময় এস্কফুলিয়েট করা হয়। ঘন ঘন এস্কফুলিয়েট বা স্ক্রাবিং করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। সপ্তাহে এক বার ভালো করে ত্বক এস্কফুলিয়েট করলেই যথেষ্ট।

ত্বকে ওয়াক্সিং বা থ্রেডিং করবেন নাঃ ফেসিয়াল করার ২/৩ দিন আগে ওয়াক্সিং করতে পারেন। তবে ফেসিয়াল করার পরে কিন্তু নয়। ফেসিয়াল করার পর তক অত্যান্ত সংবেদন শীল হয়ে ওঠে। তাই ফেসি ইয়ালের পরে ত্বক ওয়াক্সিং করলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। 

রোদে বের হবেন নাঃ ফেসিয়ালের পর রোদে না বের হওয়াই ভালো ফেসিয়ালের পরে ত্বক অত্যান্ত সংবেদনশীল হয় ফলে সূর্যের ক্ষতি কারক রশ্নি ত্বকে সরাসরি খতিগ্রস্থ করতে পারে। তাই বাইরে একান্ত বের হতে হলে ত্বকে অবশ্যই সাঞ্চক্রিম ব্যবহার করুন এবং সাথে ছাতা রাখুন।

স্টিম নেয়া এড়িয়ে চলুনঃ ফেসিয়াল করার পরপরই স্টিম নিবেন না। ফেসিয়ালের সময় ত্বকে যথেষ্ট পরিমানে স্টিমল প্রয়োগ করা হয়। অতিরিক্ত স্টিম ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এছারাও ফেসিয়ালের পরে লোম কুক খুলে জায় এমন অবস্থায় স্টিম নিলে ত্বকে র‍্যাস বের হতে পারে।

ফেসওয়াস ব্যবহার করবেন নাঃ ফেসিয়াল করার পর সঙ্গে সঙ্গে ফেসওয়াস ব্যবহার করবেন না। শুধু ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। 

হেভি মেকাপ করবেন নাঃ হেভি মাকাপ এড়িয়ে চলুন ফেসিয়াল করার পর বেশ কিছু দিন। সংবেদনশীল পাওয়াকে হেভি মেকাপ অত্যান্ত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।


ত্বকে ফর্সা ও কালো দাগ দূর করার জন্য ফেসিয়াল করা হয়। ফেসিয়ালের মাধ্যমে ত্বকের ভেতরে ময়লা পরিস্কার করা হয়। এবং ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্মুক্ত করে কিন্তু তাদের প্রকৃতি না বুজে ফেসিয়াল করলে উপকারের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্খা বেশি হয়। এছারাও অতিরিক্ত ফেসিয়াল করলে ত্বক অত্যান্ত সংবেদন শীল হয়ে পরে ফলে অল্পতেই ক্ষতি গ্রস্থ হতে পারে। অতিরিক্ত বা নিয়ম না মেনে ফেসিয়াল করলে উপরোক্ত সমস্যা গুলো হতে পারে।

কোন ত্বকের জন্য কোন ফেসিয়াল করা উচিত

গোল্ড ফেসিয়াল একটি পপুলার ফেসিয়াল এই ফেসিয়ালটি নরমল ডে অয়েলি স্কিনে হয়ে থাকে। মেচুয় স্কিন যাদের সেই যুবতী যাদের বয়স ২৫-৩৫ বছর তাদের জন্য খুবই লাভজনক।

  • এই ফেসিয়াল করলে চেহারায় গ্লো আসে।
  • গোল্ড ফেসিয়ালের মধ্যে ক্লিনজার ক্লাব, ম্যাসাজ জেল ম্যাসাজ ক্রিম, ফ্রেস মাস্ক, ময়াশ্চেরাইজার ক্রিম থাকে।

 গোল্ড ফেসিয়াল কিট গুলো হল;

  1. vlcc gold facial kit
  2. bioteque gold facial kit
  3. shahnaj hussain facial kit
  4. lotus gold facial kit
  5. aroma magic facial kit
  6. nature's esscnce gold facial kit

যে কোনো একটা প্যাক কিনে একই পদ্ধতিতে এই ফেসিয়াল্টি করতে হবে।

চোখের কালো দাগ দূর করার সঠিক পদ্ধতি

চোখের কালো দাগ দূর করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে এই কালো দাগ দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল, তেল বা ক্রিম ব্যবহার করা যায়। কোল্ড থেরাপিও কার্যকর। টুথপেস্ট, এলভেরা জেল এবং গোলাপজল একত্রে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নন। এরপরে চোখের নিচে এটি দিয়ে ২ মিনিট ঘষতে থাকুন। এবং লেবুর রস মাখতে পারেন কালো দাগে লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে।

এছাড়া একটা আলুর অর্থেক নিবেন এরপরে একটা গ্রেটার দিয়ে  গ্রেট করে নিতে হবে। গ্রেট করে নিয়ে এইটা চোখে লাগিয়ে দিবেন। এভাবে ২/৩ মিনিট রেখে চোখ ধুয়ে ফেলবেন। চোখের চার পাশের ত্বকের উজ্জলতা বারাতে ফ্রিজে রাখা ঠাণ্ডা শসা গোল আর সামান্য মোটা করে কেটে চোখে দিয়ে ১০ মিনিটের মতো রাখতে হবে। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। শসাতে আছে ভিটামিন কে যা ত্বকের ডার্ক সার্কেল কমায়।

টমেটোকে প্রাকৃতিক ব্লিচও বলা হয়। এটি কালো দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। টমেটো রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে চোখের চার পাশে লাগান। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি যেন চোখের ভিতরে না যায়। এ ভাবে ১০ মিনিত রাখুন তারপরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চোখের কালো দাগ দূর করার জন্য যে কোনো একটা রেমেডি ব্যবহার করবেন। এবং আপনি চাইলে ডাক্তারের পরামর্শে নিয়ে বিভিন্ন রকমের  আই ক্রিম ব্যবহার করতে পারবেন।

আমাদের শেষ কথা

ফেসিয়াল তো আমরা কম বেশি সবাই করতে ভালোবাসি। ফেসিয়াল করলে যেমন স্কিন ফর্সা ও টানটান হয় তেমনি বয়স হলে স্কিন অনেক সময় ঝুলে যায়। ফেসিয়াল করতে করতে বাদ দিলে ত্বকের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তাদের নিয়ম মেনে ফেসিয়াল করতে হবে। তবে ঘরে বসে গোল্ড ফেসিয়াল সবাই করতে পারবেন এতে ত্বকের তেমন বিশেষ কোনো ক্ষতি হয় না 

ফেসিয়াল করার উপযুক্ত সময় হল রাত্রি, রাত্রে ফেসিয়াল করলে সূর্যের কোনো রকম তাপ লাগেনা এবং গোল্ড জেলটা স্কিনে ভালো ভাবে কাজ করে। ১৬ বছর বয়সের নিচে ফেসিয়াল করা উচিত না। এ সময় স্কিন এমনিতেই অনেক নরম থাকে। ফেসিয়াল করলে যেমন উপকার হয় তেমন অপকারও হয়।তাই ফেসিয়াল করলে মাসে অন্তত ১ বার করতেই হবে। ফেসিয়াল করার সময় ভালো ভাবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে চোখে না যায়। এটা চোখে গেলে মারাত্মক ক্ষতি করবে। 







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url