প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার সঠিক সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রেগন্যান্সি হলে প্রথম মাসেই তেমন কিছু বোঝা যায় না। এ সময় বমি বমি ভাব হয়, মাথা ঘুরে, দুর্বল লাগে আরো অনেক সমস্যা দেখা দেয়। দের থেকে দুই মাস হলে প্রেগনান্সি কীট পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন। এ সময় খুবী সতর্কের সাথে কাজ করতে হবে। প্রেগনান্সি টেস্ট সঠিক ভাবে না করলে বুজতে পারবেন না।


 প্রেগনেন্সি টেস্ট করার সঠিক সময় হল এক মাসের ১২/১৫ দিন পর। আপনি যে উইরিন দিয়ে টেস্ট করা বেন সেই উইরিন অবশ্যই সকাল বেলার উইরিন হতে হবে এবং উইরিন পাছ করার পূর্বে আপনার কোনো কিছু খাওয়া যাবে না। এ অবস্থায় টেস্ট করলে আপনি খুব সহজেই রেজাল্ট পেয়ে যাবেন।

কনটেন্ট সুচিপত্রঃ

প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট ব্যবহারের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট ব্যাবহার করার সঠিক সময় হল সকাল বেলা। প্রস্রাবে টেস্ট কিট দিয়ে টেস্ট করতে হয় এটা আমরা কম বেশি সবাই জানি। গর্ভবতী মায়ের উইরিন বা প্রস্রাবে দেখা হয় একটি হরমোন, যেটার নাম beta hcg হরমোন কোথা থেকে আসে? বাচ্চা জন্ম নেওয়া শুরু হয় শুক্রাণু ও ডিম্বাণু মিলিত হওয়ার ফলে। যদি ল্যাবে ব্লাড টেস্ট করা যায় তাহলে কিন্তু গর্ভবতী মায়ের শরীরে এই  beta hcg হরমোন পাওয়া যায়।কিন্তু বাসায় উইরিন টেস্ট করলে উইরিনে যেহেতু হরমোন টা থাকে তাই সহজে এবং কম খরজে  এই টেস্ট টা করতে পারি।

যদি উইরিনে হরমোন টেস্ট টা থাকে তা টেস্ট কিট সেটাকে শনাক্ত করে এবং সেই রেজাল্ট কে আমরা বলি পজিটিভ টেস্ট অর্থাৎ আপনি গর্ভবতী। আর উইরিনে যদি হরমোনটা না থাকে, তার মানে আপনার ভিতরে কোন ভ্রুনের সৃষ্টি হয়নি তাহলে আপনি গর্ভবতী হননি। এবং টেস্ট কিট তখন নেগেটিভ আসবে প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট ব্যাবহার করার সঠিক সময় হল, যদি আপনার পিরিয়ড প্রতি মাসে ঠিক মতো হয়  তাহলে আপনি পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার ২/৩ দিন পরে কিট ব্যাবহার করে জানতে পারবেন আপনি প্রেগন্যান্সি।

প্রথমে একটা প্ররিস্কার পাত্রে উইরিন টা নিবেন আবশ্যই উইরিন তা হতে হবে সকাল বেলার। অনেকেই উইরিন কালেকশন করে রেখে দেন এবং পরে টেস্ট করেন এতে করে সঠিক রেজাল্ট আসেনা। প্রথমে প্যাকেট টাকে ছিরে নিবেন এবং টেস্ট কিট টাকে ভালো করে যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দুটি দাগ দেখতে পাবেন একটি হল c  লাইন আর একটি হল t লাইন। c মানে হল কন্ট্রোল লাইন আর t মানে হল টেস্ট   লাইন। এর পাশেই একটা গর্ত আছে যেতা টে s লেখা আছে । s মানে হল স্যাম্পল অর্থাৎ এই গোল অংশেই  আপনাকে উইরিন তা দিতে হবে। 

এরপর কিত টাকে একটা সমান জায়গায় রাখতে হবে রেখে এস এর জায়গায় ৩/৪ ফোটা উইরিন দিতে হবে। উইরিন দেওয়ার পরে অবশ্যই ১/২ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। পিরিয়ডের ডেট পার হওয়ার কমপক্ষে ১০ দিন পরে টেস্ট করলে সঠিক রেজাল্ট পাবেন। 

প্রেগন্যান্ট হলে কোন কোন ফল বেশি বেশি খাওয়া উচিত

আপনি গর্ভবতী হওয়ার সাথে সাথে , আপনাকে আরো বেশী খেতে বলা হয়। দুই জনের জন্য খাওয়া কথা টি একজন হবু মায়ের জন্য ঠিক না হতে পারে। গর্ভবতী হওয়ার অর্থ এই নয় যে আপনাকে অতি রিক্ত খেতে হবে, বরং আপনার এবং বাড়ন্ত শিশুর জন্য অতিরিক্ত পুষ্টি পূরণের জন্য আপনাকে একটি সুষম খাদ্য গ্রহন করতে হবে। আপনার খাদ্য চার্ট সবজি এবং ফল ছাড়া অসম্পূর্ণ। আপনি যদি তখন প্রয়োজনীয় পরিমাণে সবজি এবং ফল না খান, তবে আপনার শরীরশিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর করতে সক্ষম হবে না। 

কলাঃ কলা ফল তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কারণ ফোলেট, ভিটামিন সি, বি6, পটাসিয়াম এবং ম্যাগ্নেসিয়াম এর মতো মূল পুষ্টি রয়েছে। ফোলেট স্নায়ু টিউব ক্রটি থেকে ভ্রুণকে রক্ষা করার কাজ করে, ভিটামিন বি6 আপনার সোডিয়াম মাত্রা নিয়ন্তণ করতে সাহায্য করে। সাধারণত, আপনার প্রথম ত্রিমাসিকের সময় প্রতিদিন একটি কলা খেতে সুপারিস করা হয়।

আপেলঃ এটি গর্ভ অবস্তার সময় খাওয়ার মতো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফলের মধ্যে একটি কারন এটি খেলে আপনার সন্তানের শক্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠার সময় তার ঠাণ্ডা লেগে শোঁ শোঁ শব্দ হওয়া, হাঁপানি এবং এজমার ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে। আপেল পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এতে ভিটামিন এ, ই এবং ডি এবং দস্তা থাকে। 

আতাঃ আতা ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ , যা বাড়ন্ত শিশুর চোখ, চুল, ত্বক এবং শরীরের টিস্যুর জন্য প্রয় জনীয়। এই মৌসুমি ফল আপনার শিশুর জ্ঞানীয় উন্নয়ন বাড়ায় বলেও ডাক্তাররা সুপারিস করা হয়।

ডালিমঃ ডালিমে ক্যালসিয়াম,ফোলেট, লোহ্য, প্রোটিন এবং ভিটামিন সি রয়েছে। সুতরাং, গর্ভ অবাস্তায় ডালিম খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।

চেরিঃ চেরি ভিটামিন সি তে ভরপুর একটা ফল,চেরি সাধারণত সর্দির মতো সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছারাও চেরি প্লাসেন্টাতে কার্যকর ভাবে সরবরাহ নিশ্চিত করে।

স্ট্রবেরিঃ স্ট্রবেরি ভিটামিন, ফাইবার এবং ফোলেট সমৃদ্ধ এক্তি ফল। এতে ম্যাজ্ঞানিজ, পটাসিয়াম রয়েছে যা আপনার শিশুর হার কে শক্তিশালী হয়ে বৃদ্ধি পেতে সহায়তা করে।

কম্লালেবুঃ কমলালেবু রসে টইটুম্বুর একটা ফল যা পটাসিয়ামের একটি ভালো উৎস এবং উচ্চ রক্তচাপ হ্রাসে সহায়তা করে।

ব্লবেরিঃ ব্লবেরি ভিটামিন সি, ফোলেট, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এগুলি কেনার সময়, নিশ্চিত করে আপনি জৈব জাতের গুলি কিনুন যে গুলিতে কীটনাশক থাকে না।

আঙ্গুরঃ আঙ্গুর পুষ্টি উপাদানে ভরপুর যেমন গ্লকোজ, ফ্রূক্টোজ, প্যাক্টিন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফ্লোবাফেন, গ্যালিক অ্যাসিড, সিলিসিক অ্যাসিড, অক্সালিক অ্যাসিড, লোহ্য, ফোলিক অ্যাসিড এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যেমন, বি1, বি2, এবং বি6।


কি খাবার খেলে বাচ্চার মাথার ব্রেন ভালো হয়

প্রাকৃতিক ও তাজা খাবার খেলে বাচ্চার ব্রেন ভালো হয়। তবে মায়েদের আয়োডিন, আয়রন যুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। বাচ্চাদের ব্রেনের ২৫% মায়েদের পেতেই তৈরি হয়ে যায়। ডিম, ডিমে্র কুসুম রয়েছে প্রোটিন, বি কমপ্লেক্স এবং কোলিন। সাদা অংশে রয়েছে albumen থাকে এই এল্বুমেন বিকল্প আর কোথাও পাওয়া যায় না।  তাই গর্ভবতী মায়েদের প্রতিদিন দুটো করে ডিম খাওয়া উচিৎ। মুরগির মাংস, সামুদ্রিক মাছ ও ডাউল বেশি বেশি করে পারেন। পালংশাক, বাঁধাকপি, গাঁজর, টমেটো এবং বরবটি খাবেন।

এগুলোতে lutein নামে একটি অক্সিডেন্ত থাকে যা গর্ভ অবস্তার শিশুর মস্তিস্কের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছারা পনির, টকদই ও মুরগির কলিজা এ ধরনের খাবারে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে। রাতে ঘুমানোর আগে এক মুঠছোলা, কাট বাদাম, কিসমিস ও একটি আক্রোট কে জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে তা খালি পেতে খাবেন। গর্ভ অবস্তায় দুধ, ডিম এবং দুধের তৈরি জিনিস খেতে একদম ভুলবেন না। বিশেষ করে টকদই  বেশি বেশি খাবেন এতে বাচ্চার ব্রেন অনেক সতেজ ও মেধাবী হয়।

গর্ভ অবস্তায় মায়েদের প্রচুর পরিমানে শাকসবজি, দুধ, দিম, টকদই, পনির, সামুদ্রিক মাছ, কলিজা, বাদাম, কিসমিস, খেজুর ইত্যাদি বেশি বেশি করে খেতে হবে। এই খাবার গুলো খেলে বাচ্চার ব্রেন ভালো হয়। এই খাবার গুলোতে রয়েছে ভিটামিন, আয়রন ও ক্যালসিয়াম। প্রত্যেক দিন সকালে খালি পেটে ৫টি তুলসি পাতা ও ৫টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে খাবেন। এতে বাচ্চা মেধাবী হবে, রগ-প্রতিরাধ ক্ষমতা বারবে ও বাচ্চার চর্মরগ হবে না। তবে এই খাবার গুলো প্রথম থেকেই খেতে হবে। তাহলে বাচ্চা হবে মেধাবী।

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম ১২ টি লক্ষণ

গর্ভধারণের ৬ সপ্তাহের মধেই প্রায় ৬০ ভাগ মহিলার গর্ভবতীর হওয়ার লক্ষণ দেখা যায় এবং ৮ সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ মহিলা প্রেগন্যান্সির এই সব লক্ষণ অনুভব করতে পারে। আপনি যদি আপনার নিয়মিত পিরিয়ডের হিসাব না রাখেন অথবা আপনার পিরিয়ড নিয়মিত না হয় তবে আপনি হয়তো বুজতে পারবেন না কখন পিরিয়ড হওয়া উচিত ছিল। এ সময় আমাদের আলোচনার যে কোন একটি উপসর্গ নিজের মাজে দেখতে পেলে তা হতে পারে গর্ভবতীর হওয়ার লখন। তাহলে চলুন দেখে নেই ১২ টি লখন।

পিরিয়ড মিস হওয়াঃ গর্ভধারণের সবচেয়ে প্রচলিত লক্ষণ হলো পিরিয়ড বন্ধ হওয়া। প্রতিমাসে একটি নিদিষ্ট সময়ে নারীদের পিরিয়ড হয়ে থাকে (সাধারণত ২৮-৩২ দিন পর পর)। সেক্ষেত্রে, খেয়াল রাখুন আপনার পিরিয়ড ঠিক সময়ে হচ্ছে কিনা। যদি ২৮-৩২ দিন পর পিরিয়ড না হয়, তাহলে হয়তো আপনি গর্ভধারণ করেচেন।অন্যান্য লক্ষণ গুলো মিলিয়ে নিতে পারেন তখন এবং সাথে প্রেগন্যান্সি কিট দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে পারেন।

 কোনো নারীর যদি আগে থেকেই অনিয়মিত পিরিয়ড হয়ে থাকে তবে তাদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের এ লক্ষণটি বোঝা একটু কষ্টকর হবে।যদি আপনার পিরিয়ড নিয়মিত না হয় অথবা আপনি আপনার ঋতুচক্রের হিসাব ঠিকমত না রাখতে পারেন, তবে আপনার পিরিয়ড মিস হয়েছে কিনা তা বুঝতে পারার আগেই বমিভাব, বুকের স্পর্শকাতরতা এবং ঘন ঘন বাথরুমে যাওয়া ইত্যাদি গর্ভধারণের লখন হতে পারে।

খাবারে অনিহাঃ যদি আপনি নুতুন গর্ভবতী হন, এটা অস্বাভাবিক নয় যে কিছু কিছু খাবারের প্রতি   আপনি অনীহা বোধ করবেন কিংবা আপনার রুচি কমে যাবে। এ সময় আপনি বিভিন্ন খাবারের ব্যাপার গন্ধপ্রবন ও হয়ে উঠতে পারেন। এছাড়া আপনি হয়ত দেখতে পাবেন যে কিছু বিশেষ খাদ্য যা আপনি মজা করে খেতেন তা হঠাত করে আপনার কাছে একেবারেই অসহ্য লাগছে। আবার অনেকের মুখ বিস্বাদ লাগে কিংবা মুখে তামাটে ধরনের স্বাদ লাগে। অনেক সময় মুখে দুর্গন্ধ লক্ষ্য করা যায়।

পেটে গ্যাস হওয়া বা ফোলা ভাবঃ গর্ভ অবস্তার প্রথম দিকে অধিকাংশেরই পেতে গ্যাস তৈরি হয় এবং তা নির্গত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এছারা পেট ফাঁপার অনুভূতি হতে পারে, যা অনেকটা পিরিয়ড শুরুর পূর্ব লক্ষণের মত। এটিও হয় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে। এ কারনে কোমরের কাছে আপনার কাপর সাধারণ সময়ের চেয়ে বেশী আটাসাট মনে হতে পারে, যদিও এখন পর্যন্ত আপনার জরায়ুতে তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি।

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়াঃ হরমোন গত পরিবর্তনের কারনে এসময় শরীরে যে কয়টি পরিবর্তন আসে তার একটি হল রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি। হরমোন পরিবর্তনের কারণে আপনার দেহের কিছু ধারাবাহিক প্রক্রিয়া দ্রুত হয় যা আপনার কিডনিতে রক্ত প্রবাহের হার বারিয়ে দেয়। এর কারনে আপনার মুদ্রথলি আরও দ্রুত পূর্ণ হয়ে যায়, যার ফলে আপনার আরও বেশি বার মুদ্রত্যাগ করার প্রয়োজন হয়। প্রেগন্যান্সির প্রথম দুই-তিন সপ্তাহে ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া খুব স্বাভাবিক। 

ক্লান্ত লাগাঃ হঠাত ক্লান্ত বোধ করছেন? কিংবা ক্লান্তিতে ভেঙ্গে পড়ছেন? কেউ এটা নিশ্চিত করে জানেন না কি কারনে গর্ভ অবস্তায় প্রথম দিকে এই ক্লান্ত ভাব দেখা দেয়, তবে প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রার দ্রুত বৃদ্ধি আপনার ঘুম ঘুম ভাবের জন্য দায়ী। এছারা মর্নিং সিকনেস ও রাতে ঘুম থেকে উঠে বার বার প্রস্রাব করাও আপনার ক্লান্তিবোধ বাড়াতে কাজ করে।

স্তনের প্ররিবর্তনঃ গর্ভবতী হওয়ার প্রথম দিকের একটি লক্ষণ হল সংবেদনশিল/স্পর্শকাতর স্তন যা হরমনের মাত্রার বৃদ্ধির কারণে হয়ে থাকে। অনেক সময় মাসিক শুরুর পূর্বে অনেকের স্তনে এক ধরনের স্পর্শকাতরতা কিংবা ব্যাথা হয়ে থাকে, গর্ভ অবস্তায় একইরকম কিংবা আরও প্রকটভাবে এ উপ সর্গই অনুভূত হতে পারে।

হাল্কা রক্তপাত বা স্পটিংঃ যদি পিরিয়ড শুরু হওয়ার সপ্তাহ খানেক আগে একদিন বা দুইদিন এ ধরনের স্পটিং দেখা যায় তবে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে দেখতে পারেন। যদি রেজাল্ট নেগেতিভ আসে তবে কিছু দিন অপেক্ষা করুন। যদি যথাসময়ে পিরিয়ড শুরু না হয় তবে আবার টেস্ট করুন।

বমি বমি ভাবঃ বমি বমি ভাব শুধু সকালেই নয় এমনকি দুপুরে ও রাতেও হতে পারে। কন্সিভ করার ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর থেকে মর্নিং সিকনেস (সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্ত লাগা অ বমির ভাব হওয়ার প্রবণতা) দেখা দেয়। গর্ভধারণের ৬ সপ্তাহসময় থেকে সাধারণত মর্নিং সিকনেস বা বমি বমি ভাব দেখা দেয়। কিন্তু এটা কখনো কখনো ৪ সপ্তহা থেকেও শুরু হতে দেখা যায়। পরবর্তি এক মাস ধরে সমস্যাটা আরো বেশী খারাপের দিকে যেতে থাকে। 

অর্ধেক মায়েদের ক্ষেত্রে মর্নিং সিকনেস ১৪ সপ্তহা নাগাদ পুরোপুরি ঠিক হয়ে যায়। অন্যদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা ঠিক হতে  আরও এক মাস সময় লাগতে পারে। তবে পুরো গর্ভকালীন সময় জুড়েই বমি বমি ভাব আসা করতে পারে। 

শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধিঃ যদি আপনি আপনার দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা লিপিবদ্ধ করে রাখেন এবং দেখেন যে আপনার দেহের তাপমাত্রা অন্তত ১৮ দিন ধরে স্বাভাবিকের চাইতে বেশী আছে, তবে তা গর্ভবতী হওয়ার লখন হতে পারে। 

মাথা ধরাঃ গর্ভধারন করলে মাথার যন্তণা হতে পারে। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের শুরুতেই  মাথা ব্যাথা শুরু হতে পারে। হরমোনের মাত্রা  শরীরে বেরে যাওয়ার কারনেই  এই সমস্যা হয়।

কোস্টকাঠিন্যঃ এটি হরমোনের মাত্রার তারতম্যের কারণেই হয়। হরমোনের বৃদ্ধির কারনে শরীরের হজম প্রক্রিয়ার গতি কমে যায় যার ফলে কস্তকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

গর্ভবতী হওয়ার লখন দেখা দেয়ার পর আপনি বাসায় বসেই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে নিতে পারেন। ফার্মেসিতে যেসব টেস্টিং কিট পাওয়া যায় সেগুলো দিয়ে পিরিয়ড মিস হওয়ার অন্তত এয়া সপ্তাহ পরে টেস্ট করে দেখতে পারেন। যদি পিরিয়ড মিস হওয়ার এক সপ্তাহের মদ্ধেই আপনি টেস্ট করেন এবং তা নেগেটিভ রেজাল্ট পান তবে কিছু দিন অপেক্ষা করে আবার পরীক্ষা করবেন।


পিরিয়ড মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা উচিত

প্রতিটি মেয়ের জন্য প্রেগন্যান্সি সুন্দর ও উত্তেজনাময় মুহূর্ত। সব বিবাহিত মহিলাই এই দিনটির অপেক্ষায় থাকে। তবে পিরিয়ড মিছ হলেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা। কারন প্রেগন্যান্সি ছাড়াও বিভিন্ন কারনে পিরিয়ড মিস হতে পারে। তাই যদি পিরিয়ড মিসের সাথে সাথে গর্ভ ধারণের অন্যান্য লক্ষণ সমূহ আপনার শরীরে দেখতে পান তবেই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করুন। সঠিক সময়ে ও ভুলেশনের সময় যদি আপনি সহবাস করেন আর পরবর্তী পিরিয়ড যদি মিস হয় তাহলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করান।

পিরিয়ড মিস হওয়ার ১০-১৫ দিন পর পরীক্ষা টি করুন। এতেই সঠিক রেজাল্ট পাওয়ার সম্ভবনা সকালে প্রথম ইউরিন স্যাম্পল দিয়ে পরীক্ষা টি করা উচিৎ। বাজারে বিভিন্ন ধরনের প্রেগন্যান্সি স্ট্রিপ পাওয়া যায়। তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য ২-৩ টি স্ট্রিপ দিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। এছারা ব্লাড টেস্ট করেও জানতে পারবেন আপনি গর্ভবতী কিনা। আর যে কোন প্রয়োজনে ডাক্টারের পরামর্শ নিন। গর্ভ ধারনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ লক্ষণ হলো পিরিয়ড মিস হওয়া। যদি পিরিয়ড হওয়ার ২৮-৩২ দিন পর পিরিয়ড না হয়, তাহলে হয়তো আপনি গর্ভ ধারন করেছেন। 

যদি আপনার পিরিয়ড নিয়মিত হয় তাহলে ডেট পার হওয়ার ১০-১২ দিন পর কিট পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। কিটে যদি দুই টা লাল দাগ উঠে তাহলে বুজবেন আপনি প্রেগন্যান্ট। আবার অনেক সময় অনেক সমস্যার কারনে পিরিয়ড ঠিক মতো হয়না। সে ক্ষেত্রে যত তারাতারি সম্ভাব ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। তা না হলে পরবর্তিতে বাচ্চা কন্সিভ করবে না এবং অনেক সমস্যা হতে পারে।আবার অনেকের শরীরে রক্ত কম থাকার পারনে পিরিয়ড থিক মতো হয়না। তাই যাদের নিয়মিত পিরিয়ড হয় তারা ১০-১২ দিন পর টেস্ট করবেন।

শেষকথাঃ

প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার সঠিক সময় হল ডেট পার হওয়ার ১০-২২ দিন পর। যদি আরো ভালো করে নিশ্চিত হতে চান সে ক্ষেত্রে আরো ৫-৬ দিন পর পরীক্ষা করবেন। এ সময় অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। এবং অনেক ভিটামিন যুক্ত খাবার খাবেন। তবে অনেক খাবার আছে যা খেলে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। তাই গর্ভে বাচ্চা এলে অনেক সাবধানে থাকবেন।

যদি বাচ্চা কন্সিভ করে তা হলে আপনার মধ্যে অনেক পরিবর্তন দেখা দিবে। প্রথমে হালকা মাথা ঘুরবে, খাওয়ার প্রতি অরুচি, বমি বমি ভাব, গন্ধ লাগা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিবে। তাই এই সময় বেশি করে দুধ, ডিম, সামুদ্রিক মাছ, বাদাম ও আয়রন যুক্ত খাবার খাবেন। ভুল করেও প্রথম দিকে আনারস খাবেন না, এতে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।  






 

 

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url